সময়েল বার্তা ডেস্কঃ রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলির বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।
সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জয়নাল আবেদীন নামে ভুক্তভোগী ওই নেতা। তিনি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
লিখিত বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর উত্তরপাড়া ইউনিয়নের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলির সঙ্গে দলীয় সূত্রে পরিচয় এবং বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। এরই সুবাদে একপর্যায়ে লিলি আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তার উঁচু লেভেলে অনেক বড় নেতার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক আছে বলে জানান ও বিভিন্ন চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে আকৃষ্ট করেন।
তিনি বলেন, এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার জামাইয়ের চাকরির বিষয়ে লিলির সঙ্গে কথা বলি। লিলি আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবরক্ষক পদে জামাইয়ের চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তার দাবি অনুযায়ী পাঁচ বছর আগে বিভিন্ন সময়ে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত চাকরি তো দূরের কথা টাকাও ফেরত দেননি লিলি।
এ অবস্থায় লিলির কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকি ও মামলার ভয় দেখান। একপর্যায়ে ওই টাকার বিপরীতে লিলি জনতা ব্যাংকের মৌচাক মার্কেট শাখার অনুকূলে সাড়ে সাত লাখ টাকার দুটি অপর্যাপ্ত তহবিল চেক দেন, যা প্রতারণার সামিল।
জয়নাল আবেদীন দাবি করেন, বিষয়টি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। টাকা উদ্ধারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এসময় ইকরচালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুজ্জামান রুবেল এবং সাবেক সভাপতি সদরুল আলম লিপন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমনা আক্তার লিলি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ থেকে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার বিরোধীপক্ষ আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে জয়নাল আবেদীনকে দিয়ে মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
জয়নাল আবেদীনকে চেক দেওয়ার বিষয়ে লিলি বলেন, সাড়ে সাত লাখ টাকা নয়, জমি কেনা বাবদ দুই চেকের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল বলেন, সুমনা আক্তার লিলি নামে একজন সদস্য আছেন। তার বাড়ি তারাগঞ্জ কি না সেটা জানা নেই। জয়নাল আবেদীনের টাকার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।