ইসরাইলে হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। ইরান জানিয়েছে এই হামলা সীমিত। এতে তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি তেলআবিব।
সবশেষ এই হামলার ব্যাপারে পুরোপুরি এখনও জানতে বাকি আছে, এবং এটাও এখনও জানা যাচ্ছে না যে ইরান এর কোনো উত্তর দেবে কি না। তেলআবিব হামলার কথা এখনও স্বীকার করেনি।
বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার শুক্রবারের এই হামলাকে খুবই সীমিত আকারে ও এমনভাবে করা হয়েছে বলে বর্ণনা করেন যাতে উত্তেজনা আর না ছড়ায়।
আর বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন মনে করেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিজের কিছু জেনারেল ও রাজনৈতিক মিত্ররা তাকে চাপ দিচ্ছে ইরানের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের দিক থেকেও ইসরাইলের ওপর ব্যাপক চাপ ছিল যাতে তারা এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা এই দুদেশের মধ্যে চলমান ছায়া যুদ্ধকে সরাসরি যুদ্ধে রুপ দেয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে ইসরাইল যখন বলেছিল যে, তারা তেলআবিবের ওপর ইরানের করা হামলার জবাব দেবে, সেই থেকেই ইরানে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিরাজ করছিল।
শনিবার রাতে ইরান ইসরাইলের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুঁড়েছিল ইরান। যদিও ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা সেগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করতে পেরেছিল।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলের (ধারণা করা হয়) হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরাইলের ওপর ওই হামলা করেছিল। কনস্যুলেট ভবনের সেই হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছিল।এর জবাবেই হামলা চালাই তেহরান।