পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। রোববার (১০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্য ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু।
আর এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ‘সন্ত্রাসীর (হামাস যোদ্ধা)’ সংখ্যা ১৩ হাজার। সোমবার (১১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কমপক্ষে ১৩ হাজার ‘সন্ত্রাসী’ রয়েছে বলে রোববার দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু রোববার জার্মান মিডিয়া কোম্পানি অ্যাক্সেল স্প্রিংগারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই সংস্থাটি পলিটিকো, জার্মানির বিল্ড সংবাদপত্র এবং সম্প্রচারকারী ওয়েল্ট টিভির মালিক।
নেতাহিয়াহু অ্যাক্সেল স্প্রিংগারকে বলেছেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহতে ইসরায়েলের অভিযান বৃদ্ধি করার প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গাজার রাফাহ অঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি বর্তমানে রাফাহ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে নেতানিয়াহু অ্যাক্সেল স্প্রিংগারকে বলেছেন, ‘আমরা জয়ের দ্বারপ্রান্তে আছি। রাফাহতে অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করলে, আমাদের বিজয় মাত্র এক সপ্তাহের প্রশ্ন হবে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘হামাসের তিন-চতুর্থাংশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এই মুহূর্তে অভিযান বন্ধ করলে তারা পুনরায় দল গঠন করতে পারে।’