উজিরপুরের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তার নারী কেলেস্কারি ফাঁস!
উজিরপুরের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তার নারী কেলেস্কারি ফাঁস!

উজিরপুরের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তার নারী কেলেস্কারি ফাঁস!

উজিরপুরের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তার নারী কেলেস্কারি ফাঁস! ।। এম. লোকমান হোসাঈন ॥ অফিসের কর্মচারীকে ব্রাকমেইল করে মেয়ের সাথে পরিকীয়া! অতপর আনসার সদস্যদের হাতে ধরা। এই কর্মকর্তাকে শাস্তি না দিয়ে উল্টো আনসার সদস্যদের প্রত্যার করা হয়েছে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পরা কর্মর্তাকে দেওয়া হয়েছে অঘুষিত পদন্নোতী!

ঘটনাটি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়। গত ৬ মাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিন ও একই দপ্তরের একজন নারী কর্মচারীর মেয়ের সাথে ঘটে। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে বদলী করা হলেও, ৬ মাসেও বাস্তাবায়ন করা হয়নি বদলি আদেশ।

ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ৬ মাস পর আদেশ বাতিল করে একই দপ্তরে বীর ধপে একের পর এক অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছেন মহিউদ্দিন। অভিযোগ উঠে তৎকালীন উজিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন, এর বিশ্বাস্ত ও আস্তাবাজন হওয়াতে নানা অপর্কম করে রেহাই পেয়ে যেতেন।

রহস্যজনক কারনে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধামাচাঁপা থাকার কেউই বিষয়টি জানতে পাননি। সময়ের বার্তার কাছে মহিউদ্দিন এর নারী কেলেস্কারি ও দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের সহ বহু অজানা তথ্য আসে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখাযায়, জেলার উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এর উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিন উজিরপুর উপজেলায় ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকেই নানা দুর্নীতির পাশাপাশী নারী কেলেস্কারির সাথে জড়িয়ে পরেন।

আরো পড়তে পারেনঃ

পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৩ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
পঞ্চম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৫ | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

নারী কেলেস্কারির সাথে একাধিকবার জড়িয়ে পরলেও রহস্যজনক কারনে ব্যবস্থা নেননি উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বদলি করা হলেও আদেশ বাস্তাবায়ন করা হয়নি। স্ব-দপ্তরে থেকে প্রায় ৬ মাস পর ১৬ জুলাই আদেশ বাতিল করেন জেলা প্রশাসন।

স্থানীয় ঠিকাদারদের ভাষ্য অনুযায়ী মহিউদ্দিন উজিরপুরের অঘুষিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নির্বাহী অফিসাররাও রহস্যজনক কারনে মহিউদ্দিনের কথার বাহিরে জাননা। মহিউদ্দিন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে আদায় করে নেন অতিরিক্ত অর্থ। যার একটি অংশ মহিউদ্দিনের সিনিয়র অফিসারদের দিতে হয়। ঠিকাদারদের কাছে এমনটাই দাবী করে আসছেন মহিউদ্দিন নিজেই।

একই অফিসের নারী কর্মচারীকে সুকৌশলে ব্ল্যাকমেইল করে নারী কর্মচারীর বিবাহিত মেয়ের সাথে র্দীঘদিন যাবত অবৈধ মেলামেশা করে আসছেন মহিউদ্দিন।

মহিউদ্দিনের পরীকিয়ার এমন ঘটনা এলাকাবাসী পূর্ব থেকেই বিষয়টি জানতে পেরে র্দীঘদিন যাবত উৎ পেতে ছিলো।

সর্বশেষ গত ৬ মাস পূর্বে রাত ১২ টায় উপজেলার একজন নারী কর্মচারীর স্টাফ কোয়ার্টারে অবৈভাবে প্রবেশ করে ওই নারীর বিবাহিত মেয়ের সাথে মেলামেশা বা দেখা করতে যায়। বিষয়টি এলাকাবাসী নিশ্চিত হয়ে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের সংবাদ দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন এর নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা রাত ১ টার দিকে বিষয়টি টের পেয়ে তল্লাশী করেন। রাত ২ টার দিকে আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পরেন, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিন। এসময় আনসার সদস্যদের হাত-পাঁ ধরে স্থানীয়দের হাত থেকে রক্ষাপান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার সময় আনসার সদস্যদের পাশাপাশী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে জানানো হয়েছে। তবে কি কারনে মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি বিষয়টি রহস্যজনক।

ঘটানার ৩ দিন পর উল্টো উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ৪ জন আনসার সদস্যকে বদলি করে অন্যতয় সরিয়ে নেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আনসার সদস্যরা বলেন, ঘটনার দিন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিনকে রাত ২টায় আনসার সদস্যরা উদ্বার না করলে, স্থানীয়দের কাছে ধরা পরেন। এছাড়া মহিউদ্দিন একজন অফিসার হয়ে তাদের হাত-পাঁ ধরে বাচাঁর জন্য কান্নাকাটি করেছেন। বিষয়টি দেখে মানবিক দৃস্টিতে মহিউদ্দিনকে তাদের হেফাজতে নেন।

মহিউদ্দিন ৩ দিন পরই নির্বাহী অফিসারকে ম্যানেজ করে তাদের বদলির ব্যবস্থা করেন। মহিউদ্দিন যেঘটনা ঘটিয়েছে তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো অথচ মহিউদ্দিনকে স্ব-পদে এখনও বহাল রেখেছেন প্রশাসন। উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিন, সময়ের বার্তাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা সঠিক না।

উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু,সময়ের বার্তাকে বলেন, লোকমুখে তিনি উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ, এম মহিউদ্দিন, এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন।

মহিউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রেনে। তাই প্রশাসনের উচিত ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি আরো বলেন, অপরাধ যেকেউ করুক না কেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অন্যতয় উপজেলা প্রশাসনের সুনাম নষ্ট হবে।

বদলীর আদেশ ৬ মাসেও কেনো বাস্তাবায়ন করা হয়নি এবং নারী স্টাফ কোয়াটারে গভীর রাতে প্রবেশ সহ মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে, উজিরপুর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার (বর্তমান কর্মস্থল আগৈলঝড়া উপজেলা) ফারিহা তানজিন, সকল অভিযোগের বিষয় এড়িয়ে যান ও কোন সদত্তোর দেননি। এতেই প্রমাণিত হয় মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্যি। উজিরপুর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী অফিসার মো: সাখাওয়াত হোসেন, মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Check Also

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ।।  মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ বাণিজ্যপ্রভাব খাটিয়ে রায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *