বিশেষ ফটো সাংবাদিকঃ মোঃ হিমায়েত মোল্যা
দৈনিক বাংলার ধূমকেতুঃ আপনার জন্ম ও বেড়ে উঠা কোথায়?
এ্যাডঃ মহিবুল হক মুন্সীঃ আমার জন্ম ৩০ ই নভেম্বর ১৯৯১ সালে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের তাড়িয়াকান্দি গ্রামে। হাতে খড়ি বাবা মা এর হাত ধরেই। বাবা সরকারি প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। মা গৃহকর্মী হিসেবে ভাই-বোনদেরকে মানুষ করেছেন।
দৈনিক বাংলার ধূমকেতুঃ কোন-কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন?
এ্যাডঃ মহিবুল হক মুন্সীঃ নারান্দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছি। হাইস্কুল জীবন কাটে গ্রামের প্রিয় স্কুল নারান্দিয়া কলি মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।২০০৬ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এস এস সি পাশ করেছি এবং ২০০৮ সালে কুমিল্লার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করে ঢাকা সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হই। সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণী পেয়ে এল.এল.বি. (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করি। পরবর্তীতে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রথম শ্রেনী পেয়ে এল.এল.এম. (স্নাতোকোত্তর সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করি।২০১৬ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী সনদ অর্জন করেছি।
দৈনিক বাংলার ধূমকেতুঃ আপনার প্রিয় শখ কি?কোন সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন নাকি?
এ্যাডঃ মহিবুল হক মুন্সীঃ আমার প্রিয় শখ দাবা ও বেডমিন্টন খেলা। ল’ জার্নাল ও ল’ বুক পড়তেও আমার ভালো লাগে। হ্যাঁ,বর্তমানে আমি কয়েকটি সংঘঠনের সাথে জড়িত আছি;দীর্ঘদিন ধরে সিএননিউজ ২৪ এর আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছি। ল’ এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ল্যাব) এর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দায়িত্বরত অবস্থায় আছি। সূর্য চ্যারিটি ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছি; নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান এম হক এন্ড এসোসিয়েটস এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছি। কর্ম জীবনে আইনজীবীর পাশাপাশি এয়ার ডটকম ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার স্বপ্ন সূর্য চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানো আর অসহায় মানুষদের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে কাজ করা।আমার সবচেয়ে বড় একটা স্বপ্ন নিজ এলাকায় বড় ইসলামী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান করা আর বড় একটা মসজিদ করা।
দৈনিক বাংলার ধূমকেতুঃ আইন পেশা কেন পছন্দ করলেন?
এ্যাডঃ মহিবুল হক মুন্সীঃ আইন পেশা মহৎ একটি পেশা।আইনজীবীদের প্রথম শ্রেণির নাগরিক বলা হয়।পৃথিবীর বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ-ই আইনের শিক্ষার্থী।আইন জানলে কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে না,ফলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। আমরা যদি মিথ্যা মামলার পক্ষে কাজ করি তবে দেশে অপরাধ ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাবে। আইনী প্রক্রিয়ায় সত্য উৎঘাটনের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিকে বাঁচানো উচিত আর অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা উচিত।পুলিশও সাংবাদিকের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক থাকা উচিত;পুলিশ ও সাংবাদিকের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে আদালতে আলামত দিয়ে কোন মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য পাবো।
দৈনিক বাংলার ধূমকেতুঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানেই কি পড়ার মান খারাপ?
এ্যাডঃ মহিবুল হক মুন্সীঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনেক বেশি চাপ থাকে। প্রতিনিয়ত ক্লাসটেস্ট,এসাইনমেন্ট,ভাইবা,মিডটার্ম, ফাইনাল লেগেই থাকে;বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঠিক সময়ে পাশ করে বের হওয়া যায়।সমস্যা একটাই নির্ধারিত সময়ে যেভাবেই হোক টিউশন ফির ব্যবস্থা করতে হয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে;করোনাকালীন সময়েও অনলাইনে ক্লাস চলছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একদিন বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লন্ডনের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন অক্সফোর্ড ও হার্ভাডকেও হার মানাবে।র্যাংকিং করা সারাবিশ্বের ১০০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আসবে বাংলাদেশের সকল বেসরকারি -সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।