জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, কোনো বিশেষ দলকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করবে না। আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাবো। জনগণের ডিমান্ড বিবেচনা করে রাজনীতি করব। আমরা গণমানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলীয় সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবে। এর আগে সব জেলা ও উপজেলায় কাউন্সিল করতে হবে। জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা, পার্টির ইফতার মাহফিল এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে।
বৈঠক শেষে পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এই দলের রেজিস্ট্রিশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙ্গল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে, তারা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল যে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওই চিঠিকে নাকচ করে দিয়েছে। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলনও করে, সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তাহলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন—দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, ফখরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, নাসরিন জাহান রতনা, আব্দুর রশীদ সরকার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেফটেন্যান্ট জোনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, শেরীফা কাদের, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. আশরাফুজ্জামান আশু এমপি এবং ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার বেগম এমপি।