বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেছে তাঁর পরিবার। একই সঙ্গে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে আবেদনে। আবেদনটি ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে।
আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সূত্র বলছে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই।
আবেদনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে তাঁর ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনের বিষয়ে আইনগত মতামত নিতে স্বরাষ্ট্র থেকে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। দেশের বাইরে থেকে আজ তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। আগামীকাল আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তাঁর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।
নির্বাহী আদেশে সরকার খালেদা জিয়াকে যে দুটি শর্তে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রথমটি হলো তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।