সাবেক কাউন্সিলর আব্বাসকে সেবক হিসেবে দেখতে চায় ১নং ওয়ার্ডবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর থানাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর পদ প্রার্থী, ক্লিন ইমেজের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস কে জনগণের সেবক হিসেবে আবারও দেখতে চায় ওয়ার্ড বাসী। কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে তার মেয়াদে ওয়ার্ডের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অনেক কাজ করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। তার হস্তক্ষেপে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন বিচার শালিসির নামে একটি মহলের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছে এই ক্লিন ইমেজের সাবেক কাউন্সিলর।
তথ্য সূত্র অনুযায়ী,গাজীপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস ।
ওয়ার্ড বাসীদের দাবি এই ওয়ার্ডের উন্নয়নে আব্বাসের মত একজন সৎ ও শিক্ষিত ব্যক্তি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সরকারি জমি দখল বন্ধ ও মাদক ব্যবসা নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারবেন।
শামিম নামের এক ব্যবসায়ী জানায়, আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাসের সময়েই এই ওয়ার্ডে উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে৷ তিনি কাউন্সিলর না হওয়া সত্ত্বেও বিগতদিনগুলোতে গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি এলাকায় পরোপকারী মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায় তার এমন কাজের জন্য। তিনি আসন্ন নির্বাচনে যাতে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে সেজন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে অনুরোধ জানো হয়েছে। এখন আল্লাহ চাইলে এবং আমাদের প্রিয় আব্বাস ভাই সম্মতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে ওয়ার্ড বাসীর অপূর্ণতা পূর্নতা পাবে বলে দাবী তাদের।
এছাড়াও ওয়ার্ডের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সালাম চৌধুরী বলেন, আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস সত্যিকার অর্থে একজন সৎ যোগ্য সুশিক্ষিত ভালো মানুষ। তিনি আগামী সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে ওয়ার্ডবাসী অনেক উপকৃত হবে।তিনি আরো বলেন, আব্বাস কাউন্সিলর না হয়েও ওয়ার্ডের জনগণের পাশে থেকে যে সকল কাজ করে গেছে তা নির্বাচিতরাও করে দেখাতে পারেনি। এই ওয়ার্ডের শত শত বেকার যুবকদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা মসজিদ মাদ্রাসায় গুলোয় উন্নয়নের জন্য সহায়তা। যে কন মানুষ বিপদ এ পরে তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়নি বলেও জানান এই সাবেক শিক্ষক।
এদিকে, অত্র এলাকার মাধবপুর, পাঁচতলার মোড়, বাংলালিংক টাওয়ার, উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব পানিশাইলসহ, পলাশ হাউজিং, পদ্মাগেট, হাজিরটেক, কালিপাপর, বটতলা, দাসপাড়া, তুরাগ, জিরানী বাজার, মোল্লাপাড়া, মৃধাপারায় এলাকায়, চায়ের দোকানসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস। জনপ্রিয় এই সাবেক সফল কাউন্সিলরকে বলেন সে একজন সৎ মানুষ, জীবনে কাউকে কোনদিন ক্ষতি করে নি, তার কাছে হেলে কেউ খালি হাতে এসেছেন এমন কোন ব্যক্তি নেই, আব্বাস সবার সাথে মিশতে পারে, আব্বাস গত ২০১৮ইং সালে এক অপশক্তির কাছে হারলেও তিনি আমাদের মাঝে হারেনি এবং তিনি সাধারণ মানুষের পাশ থেকে সরে যায়নি, আব্বাস একজন ক্রিড়া প্রেমিক যা তার সবচেয়ে বড়গুন, এখনকার যুবসমাজ যেখানে মাদক, মারামারি, সন্ত্রাসী, চুরি, ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পরেন, সেখানে এর উল্টো পাওয়া যায়, মাঝে মাঝে আব্বাসকে দেখা যায় এলাকার তরুণ যুবসমাজের ছেলেদের নিয়ে বিকেল হলেই বিভিন্ন মাঠে খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরতো। ভোট আব্বাসকেই দিবো কারণ তার কাছে আমাদের আস্থা ও ভালোবাসা আছে। আব্বাস সবার মন জয় করে নিয়েছে আরও আগেই। আব্বাস এবার ভোট পাবে একচেটিয়া। তাকে এবার কেউ আটকাতে পারবেনা।
এবিষয়ে, গাজীপুর মহানগর কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর বর্তমান ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সালাম আহমেদ আব্বাস প্রতিবেদককে বলেন, আমি জনগনের জন্য কিছু করতে পারলে আমার মন থেকে প্রশান্তি অনুভব করি। যে কারনে আমি আমার সাদ্ধ অনুযায়ী আমার ওয়ার্ডের মানুষের প্রয়োজনে প্রিয়জন হয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি নির্বাচনের জন্য নয় বরং আমার নিজের আত্মতৃপ্তির জন্যই তাদের পাশে থেকে আসছি। আমাকে আসন্ন সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ গ্রহনের জন্য ওয়ার্ড বাসী অনুরোধ করেছে বেশ কয়েকবার। আমি জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।সকলকে তিনি আহবান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তার পাশে থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করে যাওয়ার। তিনি প্রধানমন্ত্রী’র সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ২৭ শে এপ্রিল, প্রত্যাহার ৮ই মে, প্রতিক বরাদ্দ ৯ই মে এবং ভোটগ্রহণ ২৫ শে মে ।