শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষাদানে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম কোর্সটিকা। সারজান ফারাবীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটটিতে এখন প্রতিদিন প্রায় বিশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর সমাগম হয়।
অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্য সহায়িকা কোর্সটিকায় পাওয়া যায় বলে খুব অল্প সময়েই প্ল্যাটফর্মটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কোর্সটিকা বাংলাদেশের সকল ধরনের শিক্ষার পর্যায় যেমন: জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ইত্যাদি পর্যায়ের তথ্য সরবরাহ করে। এরা সর্বশেষ শিক্ষার তথ্য নিয়মিত আপডেট করে যাতে যে কোনও শিক্ষার্থী নিজেকে সর্বশেষতম তথ্য দিয়ে দ্রুত আপডেট করতে পারে।
কোর্সটিকা বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয়ে পাঠ্য বইয়ের টিউটোরিয়াল প্রকাশ করে থাকে । পাশাপাশি কীভাবে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলি আরও সহজ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করে । যার ফলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সহজে এবং ভালোভাবে বুঝতে পারে।
অনলাইনে বিনামূল্যে শিক্ষাদানের প্রতি কোর্সটিকা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেই লক্ষ্যে এরা শুধু পাঠ্যবই সংক্রান্ত শিক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয। তারা বিভিন্ন তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত লেখাও শেয়ার করে থাকে। ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফ্রিল্যান্সিংসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কোর্সটিকা নতুন নতুন টিপস শেয়ার করে।
ইন্টারনেটে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও অর্থবহ করার জন্য কোর্সটিকা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে শুরু করে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য তারা প্রচুর টিপস এবং নানা রকম কৌশল প্রকাশ করে যেটা যে কোনও শিক্ষার্থীর পড়াশোনাকে আরও সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও,কোর্সটিকা তাদের বিভিন্ন আর্টিকেল এবং টিউটোরিয়ালগুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন করতে উৎসাহিত করছে । যা শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোর্সটিকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
কোর্সটিকা বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাজ করে চলছে। তাদের লক্ষ্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের ক্যারিয়ার আলোকিত করা।
বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তারা এগিয়ে চলছে। তারা আশা করে , অনলাইনে তাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা একটু হলেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম । পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম বেকার জনগোষ্ঠী প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে আরো আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
কোর্সটিকার কার্যক্রম শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ওয়েবসাইটটি ছাড়াও, তারা বিভিন্নভাবে তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি পূরণে কাজ করে চলেছে। তাদের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যেখানে ভিডিও আপলোড করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দান করা হয়। এছাড়াও তাদের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে আপডেট তথ্য দেওয়া হয়।
কোর্সটিকার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও এবং ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে থাকে । কোর্সটিকার বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচুর সক্রিয় শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা নিয়মিত তাদের লেখাগুলো অনুসরণ করেন।
►► আরো দেখুন: নার্সিং পড়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগবে
কোর্সটিকার অনলাইন সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই অনেক শিক্ষার্থী অনেক কিছু জানতে পারছে। তাদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আয় সম্পর্কিত নানা রকম তথ্য শেয়ার করা হয়। এতে করে বেকার জনগোষ্ঠী নানা রকম কাজ শিখে আয় করতে পারছে ।
যেহেতু তাদের লক্ষ্য সকল শিক্ষার্থীকে যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করা ও তাদের ভবিষ্যৎ আলোকিত করা। তাই তারা সে অনুযায়ী কাজ করে চলছে এবং তারা তাদের কাজে সফলতা অর্জন করছে।