প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশে গমনাগমনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নীরবে আসে, নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ টেরও পায় না; কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে—আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবরে স্থপতি জয়। তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নীরবে আবার চলে যাচ্ছে, কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। শেখ রেহানার লন্ডন শহরে নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই, বাস-ট্রেনে যাতায়াত করেন।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী বলেন, ‘সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং’। এই মেথডে কর্মীদের উজ্জীবিত হতে হবে। এটা বঙ্গবন্ধুর মূলমন্ত্র, আমাদের নেত্রীর বক্তব্য এবং তার নির্দেশনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পিতার লাশ সিঁড়িতে পড়ে ছিল। গোপালগঞ্জে নিয়ে ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড়ে বঙ্গবন্ধুর দাফন হয়েছে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা থেকে দূরে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায়—তখন রাস্তা-ঘাট ছিল না—অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুকে মাটিচাপা দিলে তাকে বাংলাদেশ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অঙ্ক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থস্থান, ৩২ নম্বরে জনতার ঢল নামে। শুধু ১৭ মার্চ নয়, প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধুর নামে সারা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ।
বঙ্গবন্ধুকে ‘মানুষকে ভালোবাসার রাজনীতির স্রষ্টা’—আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার উত্তরাধিকার আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বহন করে চলেছেন। চরিত্রহননের ছোড়া দিয়ে ৭৫-এর পর এই পরিবারকে কলঙ্কিত করা। এই পরিবারের চরিত্রহননের অনেক অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে অনেকেই করেছে। নিষিদ্ধ করেছে বঙ্গবন্ধুকে—স্বাধীনতা দিবসে, বিজয় দিবসে। বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আছে।