রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং “রিংকু গ্রুপ” ও “অনিক গ্রুপ’’ এর লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকু এবং হাসিবুল হাসান অনিকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল ও পল্লবী থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, ছুরি, ক্ষুর, হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর মিডিয়া বিভাগ।
মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে “রিংকু” গ্যাং এর ৪ সদস্যকে চাকু, ক্ষুর, হেরোইন ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- রিংকু ওরফে আরএম রিংকু (৩০), তানভীর মাহমুদ সাজ্জাদ (২৮), ছাব্বির হোসেন (২৯) ও রাজিব হোসেন (২৮)। এছাড়াও মিরপুর এলাকা থেকেই “রিংকু গ্রুপ” এর আরও ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়৷
সোমবার রাতে রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং ‘‘অনিক গ্রুপ’’ এর ৪ সদস্যকে চাপাতি ও ছুরিসহ গ্রেফতার করা হয়৷ তারা হলেন- হাসিবুল হাসান অনিক (২৬), শহিদুল ইসলাম (২৯), জামাল শিকদার ওরফে রবিন (৩২) ও বেলাল হোসেন (২৭) এছাড়াও রাজধানীর পল্লবী থেকে ‘‘অনিক গ্রুপ’’ এর আরও ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তার মধ্যে কিশোর গ্যাং “রিংকু ওরফে আরএম রিংকু’’ লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাং এর সদস্যরা মিরপুর-২ এর আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। “রিংকু” গ্রুপের লিডার রিংকু ওরফে আরএম রিংকু এর বিরুদ্ধে মিরপুর, ফরিদপুর নগরকান্দা থানায় মাদক, দস্যুতা, চুরি, মারামারি এবং খুনের চেষ্টা সংক্রান্ত ৪টি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা জানায়, রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। তন্মধ্যে কিশোর গ্যাং ‘‘অনিক গ্রুপ’’ এর লিডারসহ ২০/৩০ জনের সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এই গ্যাং এর সদস্যরা পল্লবীর বাউনিয়াবাদসহ আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। ‘‘অনিক গ্রুপ’’ এর লিডার মো. হাসিবুল হাসান অনিক এর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ৪টি মামলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
চিহ্নিত এসব বেপরোয়া ও মাদকসেবী কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের অত্যাচারে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং ‘‘অনিক গ্রুপ’’ ও “রিংকু গ্রুপ” এর লিডার মো. হাসিবুল হাসান অনিক ও রিংকু ওরফে আরএম রিংকু তাদের সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি করে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাধারণ লোকজনকে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাছাড়াও ফুটপাতের দোকানদাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে তাদেরকেও মারধর করে। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।