স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশ অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম (ওসি অপারেশন) কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘আইজিপি’ কমপ্লেইন সেলে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগকারী বরিশাল আইনজীবি সমিতির সদস্য ও নগরীর কাজীপাড়া এলাকার বাসীন্দা শাহাজাদা খুররম। লিখিত অভিযোগে শাহাজাদা খুররম উল্লেখ করেন, তার ছেলের শ্যালক মুজাহিদুল ইসলাম একজন পুলিশ অফিসার, বর্তমানে ঢাকা বিমান বন্দর থানায় ওসি অপারের্শন হিসাবে কর্মরত আছেন।
- আরো পড়ুন: বরিশালে সতর্কহীনতার কারণে বাড়তে পারে করোনা!
- আরো পড়ুন: ভ্রমণের খাবার কেমন হবে
- আরো পড়ুন: সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা
পুলিশ অফিসার মো: মুজাহিদুল ইসলাম সুমনের, গ্রামের বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী‘র দক্ষিন আমড়া গাছিয়া গ্রামের মৃত মো: আ: গফুরের ছেলে। মুজাহিদুল ইসলাম এর বোন সম্পর্কে তার পূত্রবধু।
মুজাহিদুল ইসলাম পুলিশে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় তাকে নানা ভাবে ভয় ভিতি প্রদর্শন করে আসছেন। একপর্যায় তার ছেলে ও পূত্রবধু পুলিশ অফিসার ভাইয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেন।
বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার আগে ৯৯৯ নম্বারে একধিক ভার ফোন করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় বেচে যান। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে তাকে বাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। পরে আইনি আশ্রয় চেয়ে বরিশাল বিজ্ঞ চীপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-১৩২/২১। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
শাহাজাদা খুররম লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তিনি সহ তার স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর পুলিশ অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম বরিশালে একাধিক বার এসে এই বলে হুমকি প্রদান করেন, বাড়িতে ফের প্রবেশ করার চেষ্টা বা আইনি কোন পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হলে, স্ত্রীসহ তাকে যারা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে সারাজীবন জেলে রাখার পাশাপাশী হত্যা করে গুম করা হবে।
- আরো পড়ুন: কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিবাসী হবেন
- আরো পড়ুন: ভ্রমণের খাবার কেমন হবে
- আরো পড়ুন: সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মার্চ মাসের ২২ তারিখ ঢাকার বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার প্রমান স্বরুপ উক্ত মামলায় যে বাদীর নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে তাহার কোন অস্তিত্ব নেই। এছাড়া ঘটনা দেখানো হয়েছে ২০১৯ সালে।
অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্য মতে তিনি বিগত ৮ বছরেও ঢাকায় যাই নাই। যাহা অনুসন্ধান করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে ঘটনার আসল রহস্য। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে জোড় দাবী করছেন। অভিযোগের বিষয় পুলিশ অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম সময়ের বার্তাকে জানান, তিনি গত ৫ বছরে বরিশালে যাননি। এছাড়া এটা বাবা-ছেলের পারিবারিক বিষয়। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করছেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।