বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে। আজকে দেশের মানুষ কথা বলতে পারে না, দেশের মানুষ তার যে ন্যায্য অধিকার সেই অধিকারের কথা বলতে পারে না।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও আজ ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে।
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় আর যেন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জাকির সিদ্দিকি, মাহবুবুল হাসান পিংকু। আরও যারা উপস্থিত ছিলেন এড. আজিজুর রহমান আকন্দ, মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শাহ নাসিরুদ্দিন রুমন, করিম সরকার, গিয়াস উদ্দীন মামুন, মেহবুব মাসুম শান্ত, মাহবুবুল আলম আক্তার, পার্থদেব মন্ডল, শাখাওয়াত হোসেন চয়ন প্রমুখ।