মোঃ ইমন খন্দকার হৃদয়: গরিবেরা যুগে যুগে নিপীড়িত-নির্যাতিত তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যুগে যুগে তাদের উপরে শোষণ করে আসছে ধনিক শ্রেণী ও ক্ষমতা প্রবণ ব্যক্তিবর্গ। তারই এমন একটি বাস্তব চিত্র নগরীর কাউনিয়া জানুকি সিংহ রোডের অগ্রভাগে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হোসেন বিশ্বাস এর ভাই আবুলের ক্ষমতায় উত্তপ্ত কথিত বিএনপির সন্ত্রাসী মোহাম্মদ মোহন (৪০) তারই পরিপ্রেক্ষিতে অসহায় বৃদ্ধ অটোচালক মোঃ বাচ্চু হাওলাদার (৫৫) এর ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন, তার গায়ে হাত থাপ্পড় ও ঘুশি, অটো ভাঙচুর, এবং পরিশেষে তার চাবি পুকুরে ফেলে দেয় কথিত সন্ত্রাসী মোহাম্মদ মোহন।
এমত অবস্থায় ভুক্তভোগী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে হাজির হন,কিন্তু পুলিশ নীরব ভূমিকা অবলম্বন করে অপরাধী মোহন গেটে তালাবদ্ব করে রাখে এবং বার বার কাউন্সিলর ও তার ভাইকে ফোন দেয়। পুলিশ কে এলাকাবাসী পদক্ষেপ নিতে বললেও পুলিশ ফোনের ওপর আস্থা রাখে।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী মোঃ বাচ্চু হাওলাদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা থানায় যান কিন্তু অভিযোগ পত্র দাখিল করতে বলেন, সেখানেও থানার ওসি কে কাউন্সিলর আমির বিশ্বাস ফোন দিতে থাকেন তাই সমঝোতার পথ বেছে নিতে বলেন। ভুক্তভোগী সহ তার আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় সাক্ষী সকলকে আমির হোসেন বিশ্বাসের ভাই আবুলের দাপট প্রয়োগ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন,কেউ যাতে মুখ না খোলে।
উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে দৈনিক আজকের সময়ের বার্তা কে ভুক্তভোগী মোঃ বাচ্চু হাওলাদার বলেন,” আমি বেলা বারোটার দিকে যথারীতি নিয়মে হাউজিং থেকে সদর রোডের উদ্দেশ্যে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলাম, পথের মধ্যে মোহন নামে তার গায়ে আমার অটো ধাক্কা লাগছিলো পরে সে আমার অটো থেকে আমাকে নামিয়ে আমার গায়ে তিন-চারটি থাপ্পড় মারে, আমার গায়ে আঘাত করে, পরে আমার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পরিশেষে আমার অটোর চাবি পুকুরে ফেলে দেয়। আজ আমি গরীব বলে আমার ওপর এমন অত্যাচার। পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছি কারো মার খেতে নয়, আমি এর কঠিন বিচার চাই এবং আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরণের দাবী”।
এসম্পর্কে মোহনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সময়ের বার্তাকে বলেন, “আমার গায়ে এসে অটোর ধাক্কা লাগে, আমি এতে আঘাত প্রাপ্ত হই। আমি আমার রাগের বসত আমি কাজ করেছি”। এছাড়াও আরো জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ মাসুম হাওলাদার বলেন, “মোহন একজন সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসীর উপর নির্যাতন করে আসছে এবং সে বিএনপির শাসনামলে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিল।
সর্বদা অন্যায় কাজ করে, আবুলের ক্ষমতায় এলাকাবাসীর ওপর নির্যাতন করে। আমাদের সহযোগীর ওপর আজ এমন নির্যাতন করেছে, আমরা জিজ্ঞেস করতে আসলেও আমাদেরকে বলে যে তোর কোন বাপ আছে নিয়ে আয়, আমরা বরিশালের সকল অটো শ্রমিকরা এর বিচার কামনা করছি”।
এই ঘটনা সম্পর্কে আইনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ হবে কিনা তা জানতে চাইলে কাউনিয়া থানা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তাদের কাছে অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কথা বলতে রাজি হয়নি,সাংবাদিককে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। পরিশেষে কাউনিয়া থানার ওসি মোঃ আজিমুল তার ওপরে অর্পিত ফোনের উপর তিনি ভরসা রাখেন এবং সাংবাদিকদের সাথে তেমন কোনো কথা বলেন নাই। ও থানার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এখন জনমনে প্রশ্ন এর সাথে আসলে প্রশাসন জড়িত? কাউন্সিলর জড়িত? না হয় গরিব মানুষটির উপর এমন অত্যাচার সকলে কেন চুপ থাকবে হয়তো বা ক্ষমতার অপব্যবহার এমনটাই এলাকাবাসীর ধারণা। উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীকে বিচারে সাব্যস্ত করা ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি।