ব্যক্তিজীবন নিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনায় থাকেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। সহ-অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে বিয়ে, মাদক মামলা, জেলজীবন—সবকিছু মিলিয়ে পরীমনির ব্যক্তিগত জীবনে কম জল ঘোলা হয়নি। কিন্তু তখনকার পরী আর এখনকার পরীতে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। হ্যাঁ, পুরোদস্তুর মা হয়ে উঠেছেন পরীমনি। মাতৃত্বকে যেমন উপভোগ করছেন, তেমনি একা মায়ের সংগ্রামগুলোও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন ‘পদ্ম’র মা।
দুই দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়েছিলেন পরীমনি। সেখানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আনন্দবাজার ডিজিটালকে একটি সাক্ষাৎকার দেন আলোচিত এই নায়িকা।
সাক্ষাৎকারজুড়ে শুধুই ছেলে পদ্মর কথা। তবে পদ্মর বাবাকে ইঙ্গিত করেও ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরেও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ছেলের জীবনে তিনি ছাড়া আর সবাই মৃত।
দেশটিভিতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারেও বারবার ছেলের কথাই এসেছে পরীমনির কণ্ঠে। যদিও কলকাতায় যাওয়ার কারণও জানিয়েছেন নায়িকা। বলেছেন, ‘দুই দিনের জন্য কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেটা হচ্ছে, সেখানে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি আমি। এইটুকুনই কিন্তু, হ্যাঁ—বাকিটা সবাইকে নিয়ে ঘটা করে অবশ্যই জানাব।’
পরী বলেন, ‘সিঙ্গেল মাদারের পথচলাটাকে খুব উপভোগ করছি আমি। এটা জীবনের সুন্দর, দারুণ ও সুখের অংশ। মানুষ তো তাঁর চারপাশের পরিবেশ দেখেই বড় হয়। ছেলেও আমাকে দেখেই বড় হচ্ছে। ওর পুরো দুনিয়াটাই আমি। মানুষ নানা-নানিকে মিস করে। তবে ওর নানা-নানি বেঁচে নেই। দাদা-দাদি, নানা-নানিকে মিস করার মতো ব্যাপার তো নেই ওর। কারণ, যাঁরা চোখের সামনে থাকবেন না, অবশ্যই ছেলের জীবনে তাঁদের অস্তিত্বটাই থাকবে না। একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ওর জীবনে সবাই মৃত, শুধু মা ছাড়া। কেউ জীবিত থেকে মৃত, আর কেউ মৃত তো মৃতই!’
ভবিষ্যতে পদ্ম কী হতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে মনে হয়, ও মেসি হয়ে যাবে। এত সুন্দর করে বলে লাথি দেয়, মনে হয় এখনই গোল হয়ে যাচ্ছে। তবে আগে ও মানুষের মতো মানুষ হোক। তারপর কী প্রফেশনে যাবে, নিজেই ঠিক করবে। আমি ওর সাথে থাকব।’