পার্কিংয়ের ব্যবস্থা সংকটে নগরবাসীর হাঁসফাঁস

পার্কিংয়ের ব্যবস্থা সংকটে নগরবাসীর হাঁসফাঁস

পার্কিংয়ের ব্যবস্থা সংকটে নগরবাসীর হাঁসফাঁস, মো: রাকিব হাওলাদার ॥ বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সুষ্ঠু পার্কিং ব্যবস্থা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্রমেই ভোগান্তি বাড়ছে। প্রতিদিনের তীব্র যানযটে অটকে পড়ে কর্মজীবীদের অফিস এবং স্কুল পড়–য়াদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।

যদিও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু তার ফল পাচ্ছে না নগরবাসী। সরেজমিন অনুসন্ধান করে দেখা যায়, নগরীর বিবি পুকুর পাড়, চক-বাজার, বাজার রোড, গির্জা মহল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই যানজট লেগে থাকে। এসব পয়েন্টে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়।

এর ফলে বিশেষ করে প্রতিদিন কর্মঘণ্টা কমে যাচ্ছে নগরবাসীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিবাসী জানান, শহরে গাড়ি রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। আর রাস্তার পাশে যে জায়গা আছে, তাতে হকাররা ভ্যান গাড়ি বসিয়ে ব্যবসা করছে। এ অবস্থায় নগরীতে তো যানজট বাড়বেই।’ আলোচিত সংকট মোকাবেলায় তিনি নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ প্রত্যাশা করেন। এদিকে শুধু কর্মজীবীরাই না, তীব্র ক্ষতির মুখে পড়ছে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও।

নগরীর উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় নগরীর সদর রোডে আমি তীব্র যানযটে পড়ি। এতে করে আমি যথাসময়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারি না।’ উক্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবক এমন পরিস্থীতির জন্য নীতি নির্ধারকদের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।

এ বিষয়ে বরিশালে ট্রফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম তানভির আরাফাত বলেন, ‘নগরীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। যেমন রূপাতলী ও নথুল্লাবাদের বাস টার্মিনাল একদম মূল রাস্তার ওপর। যা যানযট সৃষ্টিতে বড় কারণ বলে মনে হচ্ছে।’

সমস্যা সমাধানে তিনি বরিশালের রাস্তাগুলো আরও বেশি চওড়া করার পরামর্শ দেন। আগামী এক বছর পর সদর রোডে কোনো গাড়ি চলতে করতে পারবে না আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সদর রোডের রাস্তাগুলোর উপর দোকান গড়া হয়েছে। যেগুলো এখান থেকে দ্রুত সরাতে হবে। পাশাপাশি নগরীর হলুদ অটো গাড়িগুলো যদি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, বরিশাল আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র প্ল্যানার আসাদুজ্জামান সময়ের বার্তাকে জানান, ‘প্রতি শহরের জন্য একটি করে মাস্টার প্লান থাকে। আর এ মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নগর উন্নয়নের না। এগুলো অন্যান্য অধিদপ্তওে লোকজনদের দায়িত্বের মধ্যে পরে। সেই দায়িত্বের মধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনও পরে। এই মাস্টার প্লানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন একটি বড় ভূমিকা রাখে।

যুক্ত হোন ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Check Also

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছেন পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন মেঘনা ডিপো-ঠিকদার আলো! ।। এম. লোকমান হোসাঈন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *