স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতিবাজদের সাথে হাতহাত করে সিভিল সার্জন অফিসকে নিজের মত স্বর্গরাজ্য করে রাখা সেই বির্তকিত প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন সিভিল সার্জন। দুর্নীতিবাজদের অভিযোগের ফাইল গায়েব, বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে আসা ভুক্তভোগীদের নানা ফাইল বন্ধি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ নানা অভিযোগ ওঠে প্রধান সহকারী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
- আরো পড়ুন: বিনিয়োগ করে মাত্র ৪ বছরে ৫ গুণ মুনাফা!
- আরো পড়ুন: পায়রা সমুদ্র বন্দরের চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ
- আরো পড়ুন: ই-জিপিতে দরপত্র ৫ লাখ ছাড়াল
ভুক্তভোগীরা সিভিল সার্জনকে মোখিক ভাবে বলার পরে প্রকাশ্যে আসে। সিভিল সার্জন ডাক্তার মনোয়ার হোসেন জানতে চেয়ে সিরাজকে প্রশ্ন করা হলে উত্তেজিত হয়ে সিভিল সার্জনের সাথে খারাপ আচারণ করেন। গত মাসের ২২ তারিখ কৈফিয়ত তলব চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নৌটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গতমাসের ২২ তারিখ দুপুর সাড়ে ২টার দিকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। অফিসের বিশেষ প্রয়োজনে খোজ করে পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রায়ই অফিস সময়ের শুরুর অনেক পরে কর্মস্থলে আসেন এবং অফিস সময়ের অনেক আগেই কর্তৃপক্ষর অনুমতি ব্যতিত ত্যাগ করেন।
যাহা সরকারী কর্মচারী আইন অমান্য করা, সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এইমর্ম্মে গতমাসের ২২ তারিখ একটি লিখিত পত্র দেন প্রধান সহকারী মো: সিরাজুল ইসলামকে। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এমন অপরাধের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার জন্য ৩ কর্মদিবস বেধে দেওয়া হয়। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় সিরাজুল ইসলামকে আরো একটি কারণ দশোর্নার নোটিশ প্রদান করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মনোয়ার হোসেন। ২য় ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মাসের ১৬ তারিখ বেলা ১১টার দিকে সিভিল সার্জনের কক্ষে প্রবেশ করে একটি ফাইল বন্টন নিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে অসাদচারণ করা হয়।
যা সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি অনুযায়ী অসাদাচরণ ও শিষ্টাচার বহিভূক্ত হিসাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২য় নোটিশেরও ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময় বেধে দেয়া হয়। সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী সিরাজুল ইসলাম সময়ের বার্তাকে জানান, কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ উল্লেখ করেছেন, উক্ত অভিযোগ মিথ্যা। এছাড়া ইতিপূর্বে নোটিশের জবাবও দেয়া হয়েছে। ঘটনার সততা স্বীকার করে বরিশাল সভিল সার্জন ডাক্তার মনোয়ার হোসেন সময়ের বার্তাকে বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ভিন্ন অভিযোগ মোখিক ভাবে পেয়েছি।
- আরো পড়ুন: ছোট পুঁজিতে বড় ব্যবসা বিক্রি করুন এয়ার টিকেট
- আরো পড়ুন: কাচকি মাছের চানাচুর
- আরো পড়ুন: কেমিক্যাল ব্যবসা করার বিস্তারিত
লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ায় সেবিষয় কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধিমালা অনুযায়ী যে অন্যায় করেছেন তার শাস্তি পেতে হবে সিরাজুলকে। অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও কথা জানান এই কর্মকর্তা। উল্লেখ: বরিশাল সেলাইন শাখার স্টোর কিপার হারুণ কর্তৃক ভুয়া সার্টিফিকের্ট এর মাধ্যমে সেলাইন শাখায় চাকুরী পাইয়ে দেয়া সহ নানা দুর্নীতির একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয় সময়ের বার্তায়। যার তদন্ত কমিটি গঠন করেন বরিশাল সিভিল সার্জন ডাক্তার মনোয়ার হোসেন।
সংবাদের সূত্রধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন এইমর্মে বরিশাল সিভিল সার্জন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন অফিসে জমা দেন। প্রধান সহকারী সিরাজুল ইসলাম হারুনের সাথে হাতহাত করে ফাইল ধামাচাঁ প্রদান করেন। যার ফলে দুর্নীতিবাজ হারুন সহ অপরাধের সাথে জড়িতরা বেচে যায়। এছাড়া সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।