বিনোদন প্রতিনিধি :: বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি দেশে অনলাইন গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ করে দিয়েছে। আরো কিছু অনলাইন গেম এবং অ্যাপ বন্ধ করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ করতে এক রিটের প্রেক্ষিতে ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট ১০ দিনের মধ্যে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ সব ক্ষতিকর গেম তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, ও লাইকির মতো সকল প্রকার অনলাইন গেমস এবং অ্যাপ বন্ধে কোন নির্দেশ দেয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া আরো জানানো হয়, “পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধে হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
আর বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ক্ষতিকর কী না তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।” পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের বাংলাদেশে কোনো প্রকাশ্য এজেন্ট নাই। তবে বাংলাদেশে অনেকগুলো অনলাইন এজেন্ট দেখা যায়। যাদের কাছে এই গেমের জন্য বিকাশ বা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করা যায়।
পাবজি ও ফ্রী ফায়ার গেম কর্তৃপক্ষ দাবি করছে বাংলাদেশ থেকে তারা কোনো টাকা নিচ্ছে না। তবে এবিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে। এনবিআর সেটা পেলে তার জন্য ট্যাক্স আদায় করা হতে পারে। পাবজি ও ফ্রি ফায়ার অনলাইন গেম এবং যুদ্ধভিত্তিক। অনলাইন গেমে অনেকে একসঙ্গে সংযুক্ত হয়ে খেলেন।
আর কিশোর তরুণেরাই এই গেমে আসক্ত। আবার যুদ্ধ ভিত্তিক গেম হওয়ায় তারা সহিংস হয়ে উঠতে পারে। খেলার সময়ও তারা অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। আর ব্যক্তিগত যোগাযোগের সূত্র ধরে তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে , অপরাধের শিকার হতে পারে।” এই গেম এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা মাঠে গিয়ে খেলাধুলা না করে গোল হয়ে বসে মোবাইলে এই গেম খেলে। আর শহরেও কিশোর-তরুণরা এই গেমের কারণে খেলাধুলা বিমুখ হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক দেখা যাচ্ছে টিকটক ও লাইকি এর মাধ্যমে ধর্ষণ ও নারী পাচার এর মতো অপরাধ গুলো সংঘটিত হচ্ছে তাই এসব অ্যাপ এর ক্ষতিরমাত্রা চিন্তা করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।