বরিশালে চাঁদা উঠিয়ে এডিসি’র বাসায় মাসিক বাজার! > এডিসি রাজস্ব এর সিএ সাকিবের চাঁদাবাজী! > গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়!> দুদকে অভিযোগ!> স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওমেদার, অফিস পিয়ন ও তশিলদারদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিক চাঁদা উঠিয়ে এ ডি সির বাসায় মাসিক বাজার!
এমন অভিযোগ বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সি এ সাকিবের বিরুদ্ধে। রহসজন্যক কারনে একই চেয়ারে ৭ বছর! অবৈধ ভাবে বদলী বানিজ্য করে নামে ব্যানামে করেছেন কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়।
অফিসারদের নাম ব্যবহার করে এভাবে ঘুষ বানিজ্য করে আসলেও ধরাছোয়ার বাহিরে বরিশাল জেলা প্রশাসনের এ ডি সি রাজস্ব এর সি এ ওবায়দুর রহমান সাকিব। কর্মকর্তারা আসেন আবার চলে যায়, তবে ৭ বছর একই চেয়ারে বসে লুটপাট,বদলী বানিজ্য সহ মাসিক মাসওয়ারা আদায় সহ নানা দুর্নীতি করে আসছেন সি এ ওবায়দুর রহমান সাকিব। রহস্যজনক কারনে বদলীও করা হচ্ছে না সাকিবকে।
জমির নামজারি তথা মিউটেশন করতে খরচ মাত্র ১১৭০ টাকা
ওবায়দুর রহমান সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ে করা হয়েছেন সেকান্দার নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) এর বাসায় প্রতিমাসে বাজার দেয়ার কথা বলে,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে
মাসিক ভিত্তিক চাঁদা আদায় এবং জেলা প্রশাসনের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলী বানিজ্য-তশিলদার সহ অফিস পিয়নের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে আসছেন সাকিব। এমনকি অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ওমেদারদের নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন অর্থ। বিভিন্ন মামলার রায় পক্ষে পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তিতে কাজ না করে উল্টো হমকি-ধামকি দেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সি এ সাকিব তিনি ১৫১ ধারার মামলার রায় দেয়ার জন্য ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দাবী করেন। অভিযোগ দায়েরের ৬ মাস পূর্বে মুলাদী কোর্টে একটি মামলার রায়ের জন্য অভিযোগকারী দিনমজুর সেকান্দারের কাছ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। দিনমজুর সেকান্দার বাড়ির ৯টি গাছ বিক্রি করে সাকিবকে ৫০ হাজার টাকা দেন।
এখন পযর্ন্ত মামলার রায় পাননি দিনমজুর সেকান্দার। রায় না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে উল্টো ভাই জজ দাবী করে পুলিশের মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানি সহ জেলে রাখার ভয় দেখায়। পরে ভোক্তভুগী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক,জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট্র একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা ২য় | অধ্যায় ৬ | সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৫ | PDF
এছাড়া গত ৬ মাস আগে একজন ড্রেজার বালু ব্যবসায়ীকে বালু মহল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সিএ সাকিব ও পেশকার আনিচ ড্রেজার ব্যবসায়ী রুবেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
ইজারা পাইয়ে না দিয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন সাকিব ও পেশকার আনিচ। ভূক্তভোগী বালু ব্যবসায়ী রুবেল জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে অভিযোগ করার বিষয় জানালে ৬ লাখ টাকা ফেরত দেন।
বাকি ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেননি। সি এ ওবাদুর রহমান সাকিব বলেন, তার দায়েকৃত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এছাড়া বালু ব্যবসায়ী রুবেল এর কাছ থেকে নেওয়ার অর্থের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বালু ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, তিনি শুধু বালু মহল ইজারা নেওয়ার জন্য অংশ নিয়েছেন এর বেশি কিছু বলতে নারাজ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বরিশালে চাঁদা উঠিয়ে এডিসি’র বাসায় মাসিক বাজার!
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।