বরিশালে ফরচুন মিজানের কব্জায় বিসিক! ভিডিওসহ।। এম.লোকমান হোসাঈন ॥ আলোচিত-সমালোচিত এর নাম ফরচুন মিজান! বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীতে সু কোম্পানীর ফেক্টরী খোলার পর থেকেই নামটি সবার মুখে মুখে। নানা সময়ে নানা বিষয় নিয়ে পত্রিকার শিরোনামে আসতে দেখা গেছে।
এবার শিরোনামে আসছেন ঠিকাদারী কাজের নামে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত এর বিষয় নিয়ে। নাম মাত্র কাজ করে প্রায় ৭২ কোটি টাকার কাজের গরমিল দেখে। প্রভাবশালী হওয়াতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
ঠিকাদার নির্দেশকে দৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের মতোই অনিয়ম করে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ বরিশাল বিসিক এর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান সহ একাধিক কর্মকর্তাদের।
ফরচুন সু কোম্পানীর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের কাছে জিম্মি বরিশাল বিসিক শিল্প নগরী। সরকারী নির্দেশ ওপেক্ষা করে হরিলুটে নামছেন তিনি।
নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে ইট না, যেন মাটি!
৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কাজে অনিয়ম
ওপরে জানানো হলেও নেই কোন ব্যবস্থা
২০১৭ সালে বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীর রাস্তা, ড্রেনেজ ও কালভার্ট নির্মান ও সংস্কার করার জন্য শিল্প মন্ত্রনালয় থেকে ৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বরাদ্দ করা হয়। প্রায় ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে দেখা মিলছে বিশাল দুর্নীতির চিত্র।
সরজমিনে দেখা যায়, এক নম্বার তো দুরের কথা, ৩ নম্বর ইট এর চেয়েও ইট,বালু সহ নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এর বরিশাল শিল্প নগরী এর উন্নয়ন মূলক কাজ।
- (১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর PDF
- (PDF ১ম পত্র) অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
- অধ্যায়-২ ব্যবসায় পরিবেশ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর (PDF ১ম পত্র)
স্থানীয়রা বলছেন, ভালো মানের না দিয়ে নি¤œমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে উন্নয়ন কাজ। বিসিক এর ব্যবসায়ীরা সময়ের বার্তাকে বলেন, ইট দেখে মনে হচ্ছে এটা মাটির চুলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা হাত দিয়ে ভেংঙ্গে ফেরা সম্ভব।
রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মান কাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন নিয়োজিত লেবাররাও। এছাড়া, প্রভাবশালী ঠিকাদারের কাছে জিম্মি বিসিক কর্তৃপক্ষ। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
নিজের ইচ্ছা মত কাজ চালাচ্ছে চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদার মিজানুর রহমান ওরফে ফরচুন মিজান। নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে, রাস্তা, ড্রেনেজ ও কালভার্ট। যার বিনিময় লুটপাট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা।
অবহেলিত বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীকে, উন্নয়ন এর জন্য ২০১৭ সালে ৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেন শিল্প মন্ত্রনালয়। যা ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে কাজগুলোর দায়িত্ব নেন সু কোম্পানি, ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান। ২০২১ সালের দিকে উন্নয়ন কাজ শুরু হলে, প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠে কাজের মান নিয়ে।
বরিশালে ফরচুন মিজানের কব্জায় বিসিক! ভিডিওসহ
এনিয়ে পত্র-পত্রিকার শিরোনামে আসে কাজের ঘুনগত মান নিয়েও। এর পরেও ধরাছোয়ার বাহিরে ঠিকাদার মিজান। বরিশাল বিসিক এর কর্মকর্তারা জানান, ৭১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার উন্নয়ন মূলক কাজগুলো, ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান,
যথাক্রমে, এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স, ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
কাগজ-কলমে এই চার প্রতিষ্ঠান থাকলেও কাজ করছেন, ফরচুন সু কোম্পানীর চেয়ারম্যান এবং বরিশাল বিসিক শিল্প মালিক সমিতির এককাংশর সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। মিজান কোথায় পেলো এতো ক্ষমতার উতস? সরকারী অর্থ নিজের মতো করে আত্মসাত করছেন। প্রজেক্ট ইনচার্জ থেকে শুরু করে বরিশাল বিসিক শিল্প নগরী এর দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নৎসি তার কাছে?
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন বিভাগ এর উপব্যবস্থাপক আলী আজগর নাসির, সময়ের বার্তাকে জানান, বরিশাল থেকে এখন পযর্ন্ত কোন অভিযোগ বা লিখিত ভাবে কোন অনিয়মের তথ্য আসেনি। তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বরিশাল এর ডিজিএম জালিস মাহামুদ এর সাথে যোগাযোগ করার পরার্মশ দেন।
- HSC ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্নের উত্তরসহ অধ্যায়-১: PDF
- HSC অধ্যায়-১: প্রশ্নের উত্তরসহ ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা PDF
- (১ম পত্র)১ম: ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তরসহ PDF
তবে ডিজিএম মো: জালিস মাহামুদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর কোন সদত্তোর দেননি এবং সংবাদকর্মী পরিচায় পাবার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন। সহকারী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান সময়ের বার্তাকে বলেন, ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়াতে তার বিরুদ্ধে ওপরে জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এক কথায় ফরচুন মিজান এর কাছে বরিশাল বিসিক এর সকল কর্মকর্তারাও অসহায়। কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠার বিষয়টি স্বিকার করে, প্রজেক্ট ইনচার্জ ও বিসিক এর উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদুল হক সময়ের বার্তাকে বলেন, নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ করার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক ভার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া এই প্রতিবেদক এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিয়মের সততা পায়। এসময়ে নি¤œমানের মালামাল বাদ দিয়ে ভালো মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে ঠিকাদারকে বলে নিশ্চিত করেছেন সময়ের বার্তাকে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।