হারুন শাহ, ভোলা।। ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে গ্রাস করেছে গোটা পৃথিবীকে, মুখ থুবড়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্য সরকার ঘোষিত লকডাউন, এই লকডাউন এর কারণে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এই সুযোগে কিছু লোভী, সুযোগ সন্ধানী ও রাজাপুরের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে ১নং রাজাপুর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড ৬১নং কন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিতে অবৈধভাবে ঘর
উত্তোলন করে ভাড়া দেওয়ার প্রতিযোগিতা এবং অবৈধ ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গা ঘেঁষে কাঁচা টয়লেট ও খোলা প্রস্রাব খানা নির্মাণ করছেন, এমনভাবে নির্মাণ করেছেন যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে, ঠিক তখনই ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরো জায়গাটাই দখল করে আরো দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিতে পারবে এমনটাই ফোন্দিএছেন ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থাকা সুলতান আহমেদ চৌকিদার এর ছেলে রুহুল আমিন চৌকিদার।
- আরো পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের প্রথম ভাসমান সেতু এখন মরণফাঁদ
- আরো পড়ুন: মেয়র সাদিকের হার-জিত! যে ৭টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৫ কোটি টাকা আয় করবেন যেভাবে
এলাকাবাসী জানায় রুহুল আমিন চৌকিদার এর দোকানের কারণে, জনতা বাজারের ও আশেপাশের বিভিন্ন লোকজন খোলা পায়খানা প্রস্রাব ও জনতা বাজার এর ময়লা আবর্জনা এনে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে রাখার কারণে ওই ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে এলাকায় পরিবেশ নষ্ট করে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয় কিন্তু এই ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাঁটা চলা করতে পারবে না।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মুখে গাছের চারা বিক্রেতা সোহাগ বলেন , আমি দীর্ঘ আট বছর, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর জায়গা ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১০০ টাকা হারে মহলদার রজব আলী চৌকিদারকে দিয়ে থাকি, এই বিষয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি সাদেক চোকদার বলেন, রুহুল আমিন চৌকিদারকে দীর্ঘদিন বলা স্বত্বেও আমাদের কথা কে কর্ণপাত করে নাই।
মূলত রুহুল আমিন চৌকিদারের দোকানের কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বিভিন্ন লোকজন এসে প্রস্রাব পায়খানা করে ও বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে যায়। এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য (মেম্বার) ইমাম হোসেন চৌকিদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, আমি রুহুল আমিন চৌকিদার কে একাধিক বার বলা সত্ত্বেও আমাদের কথা কর্ণপাত না করায়, রুহুল আমিন চৌকিদারের বিরুদ্ধে নোটিশ করেছি, নোটিশ করার পর তার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।
- আরো পড়ুন: বরিশালে মন্ত্রীর পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে ইউএনওর উপর হামলা
- আরো পড়ুন: সংবাদ সম্মেলন করে যা বললেন বরিশালের মেয়র সাদিক (ভিডিওসহ)
- আরো পড়ুন: ইউএনওর বাসভবনে হামলা, কি বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
কিন্তু কিছুদিন পরে আবার দোকান খোলেন এবং আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠে আগের মতোই প্রস্রাব পায়খানা ও জনতা বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। এই বিষয়ে ১নং রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, হ্যাঁ বিষয়টি আমি লক্ষ করেছি, ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মাঠটা খুবই নোংরা পরিবেশে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে আসছে, এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দায়ী নয়। দায়ী কিছু কুচক্রী মহল, যারা অবৈধ ও অন্যায় ভাবে স্কুলের জায়গা দখল করেছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত ও দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করে তারা সমাজের তথা দেশের শত্রু। এই বিষয়ে আমি ভোলা সদর ইউ,এনও মহাদয় কে জানিয়েছিলাম তিনি দীর্ঘদিন ওই দোকানগুলো বন্ধ করে রেখেছিল, শুনেছি এখন নতুন করে আবারও দোকান গুলো চালু করেছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।