ঢাকা জেলা প্রতিনিধি : শাহারিয়ার ইসলাম
মাইক্রোনেশিয়া যুক্তরাজ্য, গঠিত হয়েছে কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে ৭০২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে । এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র যা প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত । মোট জনসংখ্যা , এক লক্ষ ষোল হাজার তিনশ সাতাশ জন যাদের অধিকাংশই কথা বলে ইংরেজিতে। দেশটি আয়তনের দিক দিয়ে ক্ষুদ্র হলেও দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার । যখন সারা বিশ্বে করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে, সেখানে মে ২০২০ তেও, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়নি মাইক্রনেশিয়ার কোনো নাগরিক। কেনোনা, ৩ এপ্রিল ২০২০ এর মধ্যেই সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট, ন্যাশনাল গভর্মেন্ট এবং স্টেট গভর্মেন্ট একত্রিত হয়ে করোনাকে রুখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
অবস্থার গভীরতা পর্যাচলনা করে সুপ্রিম কোর্ট ইমার্জেন্সি ইস্যু করেন, এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য কর্মঘণ্টা এবং কোর্টের কার্যক্রম কমিয়ে আনেন। কিন্তু আঞ্চলিক ভাবে কোর্ট ক্লার্ক অফিস খোলা রাখা হয় এবং সম্পুর্ন সতর্কতার সাথে কার্যক্রম চলতে থাকে। এক পর্যায়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও কোর্টের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং কোর্টের সকল ধরনের কার্য তালিকা পিছিয়ে দেয়া হয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়নোর স্বার্থে।
১৫ এপ্রিল, ২০২০ থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে সকল নাগরিককে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত এক জন ব্যাক্তি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং সে তা থেকে আরোগ্য ও লাভ করেছে। মাইক্রোনেশিয়ার সরকার, আইন ব্যবস্থা এবং জনগণ যেভাবে বিচ্যক্ষণতার সাথে যেভাবে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে তা সত্যিই অতুলনীয়।