বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারের খেলা। প্রথমে নুয়ান থুসারার বলে বোল্ড হলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে নেমে স্ট্রাইক নেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু এবারও হৃদয়ের স্টাম্প ভেঙে দিলেন থুসারা।
বোল্ড হয়ে খানিকটা অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন হৃদয়। এরপর প্যাভিলিয়নে হাঁটা ধরবেন; কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা গেলো উত্তপ্ত তাওহিদ হৃদয়কে। তিনি তেড়ে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কান ফিল্ডারদের দিকে। অনফিল্ড আম্পায়ার তানভির আহমেদ, নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার সৌম্য সরকার হৃদয়কে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় দফায়ও হৃদয়কে তেড়ে যেতে দেখা যায়।
মূলত কেন ওই সময় হৃদয় এমন করলেন, কেন তিনি লঙ্কান ফিল্ডারদের দিকে তেড়ে গেলেন, লঙ্কানরা তাকে কী বলেছিল- যে কারণে তিনি এতটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন? এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
ক্রিকইনফোর লাইভ কমেন্টারিতে লেখা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার কোনো ফিল্ডার ওই সময় হয়তো তাওহিদ হৃদয়কে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলেছিলেন, যে কারণে তিনি হঠাৎ এতটা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বিতর্ক যেন নিয়মিত এক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুরুটা হয়েছিল ‘নাগিন-নাচ’ দিয়ে। এরপর গত বিশ্বকাপে ‘টাইমড্ আউট’ বিতর্ক হলো। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেলো ‘স্নিকো-বিতর্ক’। যে বিতর্কে সৌম্য সরকারকে রান আউট দেওয়া হলো না।
এবার আজ সিলেটে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে যোগ হলো বিতর্কের নতুন অধ্যায়। আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ালেন তাওহিদ হৃদয়।
এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে স্নিকো বিতর্কের ঘটনাও ঘটে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে। সেই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ জানিয়েছিলেন, টিভি আম্পায়ারের নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ রেফারির কাছেও যেতে পারেন তারা।