মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক বাংলাদেশিসহ তিনজন নিহত হয়েছে, যাদেরকে দেশটির সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্য বলছে পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য স্টার।
পুলিশ বলছে, সম্প্রতি সোনার দোকানে ডাকাতি, ছিনতাই ও ভাংচুরে সঙ্গে এই সেন্ট্রো গ্যাং সদস্যরা জড়িত। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পেকান-কুয়ান্তান বাইপাসে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতদের একজন বাংলাদেশের ও বাকি দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক। তাদের বয়স যথাক্রমে ৩৮ ও ৩৬, ৪৪ বছর। একটি প্রাইভেটকারের মধ্য থেকে এই তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ। পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহিয়া ওথমান বলেন, নিহতদের ব্যবহার করা একটি প্রোটন ওয়াজা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ম্যাচেট ব্লেডসহ আরো কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বন্ধুকযুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহায়া ওথমান বলেন, পেকানে পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় সন্দেহজনক অবস্থায় একটি গাড়ি শনাক্ত করে পুলিশ। গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলে চালক দ্রুত গতিতে বাইপাসের দিকে চলে যায়। পরে পুলিশের গাড়ি তাদের পিছু নেয়। ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের একটি টহল গাড়িকে ধাক্কা দেয় তারা। পরে পুলিশ পরিদর্শন করতে গাড়ি থেকে নামলে তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে গাড়িতে থাকা গ্যাংয়ের তিনজনই নিহত হন।
পাহাং পুলিশ প্রধান আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে ভিয়েতনামের পাসপোর্টধারী ওই দুই ব্যক্তি টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। নিহত বাংলাদেশির বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্যরা গত বছরের জুন থেকে সেলাঙ্গর, নেগেরি সেম্বিলান, পেরাক এবং পাহাংয়ের বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে চুরি ডাকাতি করেছে। এছাড়া তারা মানুষের ওপর ও ছিনতাইয়েও জড়িত।