সবাই চায় দীর্ঘায়ু পেতে। তবে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা সহজ নয়। বেঁচে থাকতে আমাদের প্রতিদিন খাবার খেতে হয়। কিন্তু যে খাবারে আয়ু কমে তার প্রতি কি আমাদের কোন জানাশোনা আছে? দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচার জন্য কী কী খাবেন আর কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন তা জানা জরুরি।
সুস্থ জীবনযাপনে সঠিক খাদ্যভাসের বিকল্প নেই। এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে আয়ু বাড়ে। পক্ষান্তরে এমন কিছু খাবারও রয়ছে, যা গ্রহণে আপনার আয়ু কমার সম্ভাবনা প্রখর। তাই সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে যে খাবারে আয়ু কমে তা এড়িয়ে চলতে হবে।
বেশি মাত্রায় চিনি
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি, চিনিতে কোনও পুষ্টিগুণ নেই? বরং চিনি ক্যালোরিতে ভরপুর। পুষ্টিগুণহীন এই ক্যালোরিই নানা রকম রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অতিরিক্ত চিনির কারণে ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস বা কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো নানা জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে। আর তার ফলেই কমতে পারে আপনার আয়ু।
প্যাকেটজাত খাবার
একটি জরিপে দেখা গেছে, বার্গার বা পিজ্জার মত প্রক্রিয়াজাত খাবার যারা নিয়মিত খান তাদের মধ্যে যে কোনও ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা ১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
শুধু তাই নয়, প্যাকেটজাত রান্না করা মাংসের নানা পদ নিয়মিত খেলেও শরীরের ক্ষতি হয়। মেয়েরা যারা এই ধরনের খাবার বা ‘প্রসেসড ফুড’ যারা নিয়মিত খান, তাদের ক্ষেত্রে স্তনের ক্যানসারের ঝুঁকি ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে ।
তেল এবং ভাজা খাবার
দুপুরে সিঙ্গারা বা সন্ধার পরে পিয়াজু-বেগুণি খেতে আমরা অনেক পছন্দ করি। কিন্তু অতিরিক্ত তেল দিয়ে তৈরি এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। এগুলো শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা নানা রকমের জটিল অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান ও নেশাদ্রব্য
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর হচ্ছে নিয়মিত হারে ধূমপান ও নেশাদ্রব্য সেবন। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে ফুসফুস চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। যা পরবর্তীতে ক্যানসার ও হৃদরোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থভাবে দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য ধূমপানের অভ্যাস গোড়াতেই ত্যাগ করতে হবে— এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।