বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস-কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: রূপাতলীর শ্রমিক নেতা সুমন মোল্লাকে হত্যাচেষ্টা
রোববার (১৭ এপ্রিল) ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত করে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ নালিশি মামলাটি দায়ের করেন সুমনের মা সেতারা বেগম।
- আরো পড়ুন: কোম্পানী ও সমিতির আইন
- আরো পড়ুন:ব্যক্তিগত মামলায় সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতারের বিধান
- আরো পড়ুন:ফৌজদারী মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্তদের বেতন ভাতা পরিশোধ সংক্রান্ত
বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ শুনানী শেষে পূর্বের দায়েরকৃত জি আর ২৭৮/২২ মামলাটির সাথে একত্রিত করে তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।
আসামিরা হলেন- ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির, তার ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহিদুর রহমান মনির, ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা,
২৫নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি, মঈন সিকদার, ওয়াদুদুর রহমান সোহেল মোল্লা,
আজম, বাসার, সুরুজ, পান্না মৃধা, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিন মাহমুদ তারিক, শফিকুল ইসলাম ওয়ারেছ ও জাহিদসহ হত্যা চেষ্টায় আরও ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত আসামি অংশ নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সেতারা বেগম জানিয়েছেন, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা গত ৪ এপ্রিল ইফতারির কিছুক্ষণ আগে আমাদের ঘরসহ মোট তিনটি ঘরে হামলা চালায়। এসময় আমার ছেলে সুমন মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশে কোপায়। তাকে বাঁচাতে আল আমিন গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
সুমনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ মামলায় এক আসামী গ্রেফতার হলেও বাকিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের পুলিশ আটক করচ্ছে না।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রূপাতলী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামীদের সাথে সুমন মোল্লার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
- আরো পড়ুন:নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত দেনার দায়ে জেল আটকে পূর্ণ বেতন ভাতাদি প্রাপ্য
- আরো পড়ুন:সঞ্চয়পত্র কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন
- আরো পড়ুন:সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুসারে সাময়িক বরখাস্তের বিধান
সোমবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সকল আসামীরা একত্রিত হয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করাসহ বসতঘর ভাংচুর করে। পরে আরিফুর রহমান সুমন মোল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং জিআর ২৭৮/২২।
এই মামলায় তথ্যগত ভুল রয়েছে উল্লেখ ফৌজদারি কার্য্যবিধি আইনের ২০৫ (ঘ) ধারায় আদালতে নালিশি মামলাটি দায়ের করেন আহত সুমন মোল্লার মা সেতারা বেগম ।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।