মিনহাজ আবেদীন কাজ করেন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। বেলা ১১টার দিকে এসেছেন মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজার মার্কেটে। তার ধারণা ছিল রমজানের প্রথম দিন সকালে হয়তো কিছুটা কম দামে মিলবে সবজি ও লেবু। কিন্তু তার আশায় গুড়েবালি। একের পর এক দোকানে লেবুর দাম জিজ্ঞেস করছিলেন। কোনো দোকানদারই লেবুর হালি ৮০ টাকা নিচে চাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত দুটি লেবু কিনলেন ৪০ টাকায়।
লেবু কেনার সময় মিনহাজ আবেদীন দোকানিকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ভাই লেবুর শরবত খাওয়া বন্ধ কইরা দিতে হইবে। আপনেরা আমাগো শরবতটাও খাইতে দেবেন না।
এরপর এই প্রতিবেদক মোহাম্মদপুরের কাঁচা সবজির বিভিন্ন দোকানে লেবুর দাম জানতে চান। প্রত্যেক দোকানিই লেবুর হালি চাইলেন ৮০ টাকা। কেন এত দাম— জানতে চাইল তারা বলেন, দাম রাতারাতি বাইড়া গ্যাছে গা। আমরা কি করুম।
আরেক দোকানে এক ক্রেতা বিক্রেতাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, তোমরা কি আমাগো বেগুনও খাইতে দিবা না? একদিনে দাম বাড়ায়া দিলা।
মুচকি হেসে দোকানি শুধু বললেন, মামা আমরা কি করুম। দাম তো পাইকাররা বাড়ায় দিছে।
আরেক দোকানি আশার কথা শুনিয়ে বললেন, কয়টা দিন ধৈর্য্য ধরেন, এগুলার দাম কইমা আসব।
জীবন ও নয়ন কাজ করেন একটি বাসার কেয়ারটেয়ার ও নৈশপ্রহরী হিসেবে।
জীবন বলছিলেন, মানুষ খাবে কি? যে শশা দুই দিন আগে কিনলাম ৮০ টাকা। আজ সেটা ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর লেবুর হালি ৮০ টাকা।