এ যেনো সর্ষের মধ্যেই ভূত। স্বর্ণের পুকুরের যিনি দায়িত্বে, তিনিই চোরের খাতায় নাম লিখালেন! রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর ১০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার কৌশলে নিয়ে উধাও হয়ে যান রাজস্ব কর্মকর্তা পিংকু রায়।
পরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তৎপরতায় বারটি উদ্ধার করা হয়।
সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পিংকু রায় স্বর্ণের বারটি নিজ হেফাজতে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন যাত্রী মহিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিল ১১৬ গ্রাম ওজনের এক পিস স্বর্ণের বার। কাস্টমস জোনে এই স্বর্ণের বারের শুল্ক দিয়ে বের হয়ে আসেন তিনি।
কিন্তু মহিবুর রহমান গাড়িতে ওঠার জন্য ক্যানোপি- ২ এ অপেক্ষা করার সময় খেয়াল করে দেখেন, তার পকেটে স্বর্ণের বারটি নেই। আবারও টার্মিনালে ফিরে যান তিনি। কাস্টমস জোনে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও স্বর্ণের বারটি না পেয়ে অভিযোগ দেন এপিবিএনকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কাস্টমস জোনে মহিবুর রহমানের বারটি পড়ে যায়। কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনের সামনে ফ্লোরে পড়ে থাকা সেই স্বর্ণের বারটি এক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পা দিয়ে লাথি মেরে এক পাশে সরিয়ে রাখেন। পরে সুযোগ বুঝে কৌশলে স্বর্ণের বারটি পকেটে নিয়ে দ্রুত বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যান।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয় যে, তিনি ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পিংকু রায়। তিনি কাস্টমসের ট্রানজিট ও মূল্যবান গুদামের দায়িত্বে আছেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পিংকু রায়কে ফোন করে আর্মড পুলিশের অফিসে নেয়া হলে তিনি স্বর্ণের বারটি নিজ হেফাজতে নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং ফেরত দিতে রাজি হন।
এ ঘটনা ঢাকা কাস্টমসকে জানিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রায়কে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কাস্টমসের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।