সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম খান এর মৃত্যুবার্ষীকি অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম খান এর মৃত্যুবার্ষীকি অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম খান এর মৃত্যুবার্ষীকি অনুষ্ঠিত>

বরিশালের সাংবাদিক শিল্প-সাহিত্য ও নাট্যাঙ্গনের ভ্যানগার্ড ও  সাপ্তাহিক খাদেম পত্রিকার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম খান এর মৃত্যুবার্ষীকি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বিকাল বাদ আসর একমাত্র ছেলে আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল‘র ছেলে নামে প্রতিষ্ঠিত আকিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফখরুল ইসলাম খান এর ভাতিজা ও দৈনিক সময়ের বার্তা পত্রিকার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি নজরুল ইসলাম খাঁন সহ বরিশাল নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিনি প্রথমে কলকাতা ও পরে ১৯৫০ সালে বরিশাল থেকে প্রকাশিত মাসিক গুলিস্তা এবং ১৯৬৬ সালে সাপ্তাহিক খাদেম সম্পাদনা করেন।

এছাড়াও কলকাতা থেকে মাসিক ‘ইনকিলাব’ নামের পত্রিকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ও তার যুগসম্পাদনায় প্রকাশিত হত।

ফখরুল ইসলাম খান বরিশালের নাট্যাঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সাহিত্য পরিষদ ,সাংবাদিকতা এবং বরিশাল প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রেখেছেন। বাংলার মুসলিমদের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম চিত্র প্রযোজক। ১৯৬৪ সালে তিনি বরিশাল নাট্য নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।

শিক্ষাজীবন
ফখরুল ইসলাম খানের জন্ম ১৯২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বরিশালে তার পিতা সমাজসেবক এবং রাজনীতিবিদ খান বাহাদুর হাশেম আলী খান যিনি ১৯৪১ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন।[২] ফখরুল ইসলাম খানের দুই বোন ও এক ভাই।

তারা হলেন সামছুন্নেছা ও লুতফুন্নেছা পারুল এবং নুরুল ইসলাম খান সুলতান। তিনি প্রথমে বরিশালে এ.কে. স্কুল এবং পরে কলকাতা রিপন স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করেন। ফখরুল ইসলাম খান কলকাতায় বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রিপন স্কুল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন এবং সেখানে নিয়মিত লেখালেখিও করতেন।

কর্মজীবন

ফখরুল ইসলাম খান ছিলেন একজন সাংবাদিক। এছাড়া তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক। ১৯৪৪ সালে কলকাতা আজাদ চিত্রপট থেকে তার প্রযোজনায় পুর্বাশা, কালোছায়া, হানিবাড়ি এবং জাগো হুয়া সাবেরা নামের চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রগুলোর পরিচালক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র এবং কালোছায়া চলচ্চিত্রের যুগ্ন পরিচালক ছিলেন ফখরুল ইসলাম খান।

১৯৪৭ সালে এই ছবি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৬ সালে বুলবুল প্রোডাকশনের ব্যানারে হাসপাতাল সিনেমাটি মুক্তি পায়। এ সময় তিনি ‘কলকাতা মোশন পিকচারস এসোসিয়েশনে’র সম্পাদক এবং ‘কলকাতা লেখক সাংবাদিক’ সঙ্ঘের যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তার প্রযোজনায় ১৯৭২ সালে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে চলচ্চিত্র পরিচালক সুশিল মজুমদারের পরিচালনায় অনন্যা চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। তিনি বরিশাল সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। মাসিক গুলিস্তা, সাপ্তাহিক খাদেম ও ইনকিলাব এর সম্পাদক ছিলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন
ফখরুল ইসলাম খান কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ভারতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ বদরুদ্দোজার কন্যা সৈয়দা সাকিনা ইসলাম কে বিয়ে করেন। সৈয়দা সাকিনা ইসলাম দু বার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার প্যানেলেও সদস্য ছিলেন।

কমনওয়েলথ সম্মেলন, বিশ্ব নারী সম্মেলনসহ বহু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাদের এক পুত্র আমিরুল ইসলাম খান বুলবুল এবং দুই কন্যা শবনম ওয়াদুদ কেয়া ও সাগুফা খানম জোয়ারদার।

বরিশালে মুসলিম পরিবারে সাংবাদিক, প্রযোজক ও পরিচালক, সম্পাদক ফখরুল ইসলাম খান ১৯২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ২০০৭ সালের ১৩ মে মৃত্যু বরণ করেছেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Check Also

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রধান বিচারপতির কাছে নাজির কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ।।  মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ বাণিজ্যপ্রভাব খাটিয়ে রায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *