সাভারের হেমায়েতপুরে সড়কদ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তেলবাহী লরি উল্টে চারটি গাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম নজরুল ইসলাম। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার ভোরের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুইজনে।
এর আগে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়।
দগ্ধরা হলেন- মিলন মোল্লা (২২), মিম (১০), আল আমীন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), হেলাল (৩০), আব্দুস সালাম (৩৫), সাকিব (২৪) ও মো. আল আমীন (২২)।
বার্ন ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মিলন মোল্লার ৪৫ শতাংশ, মীমের ২০ শতাংশ, আল আমীনের ১০ শতাংশ, নিরঞ্জনের ৮ শতাংশ, আব্দুস সালামের ৫ শতাংশ ফেস বার্ন, সাকিব ও হেলালের ১০০ শতাংশ ফেস বার্ন হয়েছে। আর মারা যাওয়া নজরুল ইসলামের শতভাগ পুড়ে যায়।
সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে তেলবাহী লরি ঢাকার দিক থেকে সাভারের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাভারের জোরপুল এলাকায় পৌঁছার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন বানানোর লক্ষে সড়কের ওপর রাখা বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায় লরিটি। এরপর সড়কের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে তেলবাহী লরিতে আগুনে লেগে যায়। লরির আগুন একইমুখী একটি ক্যাভার্ড ভ্যান, দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারেও ধরে যায়। আগুনে ঘটনাস্থলে একজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া আরও নয়জন দগ্ধ হন। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন তারা।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক দায়িত্ব) মো. বাবুল আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, স্থানীয়রা আগুন লাগার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে সড়কে পাশে নিয়ে যায়। তবে আগুনে দগ্ধ মৃতদেহটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের পাশে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহটি ওই ট্রাকের কারও হবে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।