স্বর্ণালংকারসহ গ্রিল কাটা চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ। তার নাম নাম ওয়াহিদ। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে স্বর্ণের একটি আংটি, দুটি হাতের বালা, একটি গলার চেইন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও চুরির সময় পরিহিত শার্ট-প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর গেন্ডারিয়ার লোহারপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, গত ৯ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যান। গেন্ডারিয়ার সতীশ সরকার রোডের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন সেই ভাড়াটিয়া। গত ১৫ এপ্রিল ঈদ শেষে তিনি ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে দেখতে পান বাসার প্রধান দরজার বাইরে তালা লাগানো। কিন্তু ভেতর থেকে আটকানো। ফ্ল্যাটের ভেতরের দিক থেকে দরজা বন্ধ থাকায় তার সন্দেহ হয়। তিনি বাসার সব জানালা চেক করতে গিয়ে দেখেন রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা। তিনি তার রুমের ভেতরে ঢুকে দেখেন জিনিসপত্র সব এলোমেলো, বেডরুমে থাকা আলমারির তালা ভেঙে চোরেরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় গত ১৬ এপ্রিল গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা হয়।
তিনি জানান, ওয়াহিদকে শনাক্ত করে গেন্ডারিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। চুরির সময় ওয়াহিদের চুল ও দাড়ি দৃশ্যমান থাকলেও পরে চুল ও দাড়ি কেটে ফেলেন। চুরির টাকা দিয়ে ওয়াহিদ শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যান। ভ্রমণ শেষে গেন্ডারিয়ায় ফিরলে থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
ওয়ারীর ডিসি জানান, গ্রেফতার ওয়াহিদ তার পলাতক সহযোগীদের সহযোগিতায় রাতের আঁধারে বিভিন্ন ফাঁকা বাসা-বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে চুরি করতেন। ঘটনার সময় ওয়াহিদ ও তার সঙ্গীরা সিসি ক্যামেরার উপর কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেন। এতে ফুটেজ সহজে আসতো না। ফলে তারা জানালার গ্রিল কেটে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতেন। বাসার প্রধান দরজা ভেতর দিক থেকে আটকিয়ে দিতেন। এরপর স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে যেতেন।
লুণ্ঠিত আরও মালামাল উদ্ধার এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।