বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অনেকদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। আর এতে করে সবেচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের দোকানদার, ঠেলাগাড়িচালক, অটোরিকশাচালক, ভ্যান-সিএনজিচালক সহ রোদে খেটেখাওয়া মানুষগুলো।
সোমবার (১৫ এপ্রিল ) সকাল ১১ ঘটিকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার চৌরাস্তা, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, মেয়র বাজার, রাখাইন মার্কেট রোড, কম্পিউটার সেন্টার এলাকায় প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষেরা।
প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে নানা ধরনের ঠাণ্ডা শরবতই ভরসা এখন খেটে খাওয়া মানুষদের।
যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই দেখা যায় রঙবেঙের শরবতের দোকান। কোথাও কোথাও বিক্রি করছেন বাহারি রকমের শরবত আবার কোথাও লেবু ও বেলের শরবত, কোথাও তৈরি হচ্ছে আইস গোল্লা। পাশাপাশি ডাব ও আখের রসও পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় অটোভ্যানচালক চালক মো. নুরসাঈদ বার্তা ২৪.কে জানান, মোরা খেটে খাওয়া মানুষ, চাকা চললে খেতে পারি, না চললে না, প্রচণ্ড গরমে যাত্রী টানতে পারছি না। রোদে বারবার তৃষ্ণা পাচ্ছে। তাই শরীলটারে শান্তি দিতে দুই গ্লাস শরবত খেলাম।
এছাড়া সৈকতের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে ডাব খেতে দেখা যায় ঘুরতে আসা পর্যটক আব্দুর রহিম কে।
আব্দুর রহিম বার্তা২৪.কে বলেন, মাথার ওপর যে রোদ, সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড তাপমাত্রায় হোটেলে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে। একটুতেই ঘামে ভিজে গোসল হয়ে যাচ্ছি। যে কারণে শরীরে পানির চাহিদাও হয় প্রচুর। পিপাসা পায় খুব। তাই একটু শান্তির জন্য হোটেল রেখে সি বিচে এসেছি প্রাকৃতিক বাতাসকে উপভোগ করতে এবং পাশাপাশি ডাব খেতে।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগ। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মেটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পুনম বলেন, তীব্র তাপদাহে বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। শিশুদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং তাদেরকে ফলমূল শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
কলাপাড়া উপজেলার আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, উপজেলাতে সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতি আরও এক সপ্তাহ চলবে।