পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বরিশালে বেড়েছে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের চাপ। আর এই অতিরিক্ত মানুষের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে বৈধ ও অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও অবৈধ যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে সৃষ্ট তীব্র যানযটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে নগরীর মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শত-শত অবৈধ ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক, প্রশাসন সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গাড়িগুলোর পাশাপাশি বরিশালের দূর দূরান্ত থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটে আসা সাধারণ মানুষের মাইক্রোবাস, জিপ গাড়িসহ অগণিত মটরসাইকেল নগরীর সদর রোড, জেলখানার মোর, কাঠপট্টি, চকবাজার, গীর্জা মহল্লা, বিবির পুকুর পাড়, নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশে এলোমেলোভাবে পার্কিং করায় যানযট তীব্র আকার ধারণ করছে।
এছাড়াও কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের যোগসাজশে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে গড়ে উঠেছে অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড। এ সকল স্ট্যান্ড গুলো রাস্তার মধ্যে হওয়ায় সেখানে দাড়িয়ে থাকা শত-শত যানবাহনের কারণে দিন দিন বাড়ছে যানযট।
অবৈধ যানবাহনের লাগাম টেনে ধরার জন্য সরকার বারবার তাগিদ দিলেও তার ভিন্ন চিত্র বরিশালে। ট্রাফিক পুলিশের সামনেই পার্কিং করা সহ চলাচল করছে হাজারো অবৈধ যানবাহন। যত্রতত্র পার্কিং ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে কতিপয় নাটকীয় অভিযান পরিচালনা করলেও কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নারাজ প্রশাসন। এ ছাড়াও শত শত মটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে প্রকাশ্যে হেলমেট পরিধান ছাড়াই হরদম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা গুলোতে।
এ বিষয়ে নগর বিশ্লেষক মোহাম্মদ রফিক খান বলেন, অবৈধ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও যানবাহনের অবাধ যত্রতত্র পার্কিং এর কারণে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে নগরীর বাসিন্দারা। যানযট নিরসন করতে হলে অন্তত ঈদের সময়ে মার্কেট গুলোর আশে পাশে বিকল্প পার্কিং এর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অবৈধ যানবাহনের লাগাম টেনে ধরার বিকল্প কিছুই নেই।
এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, আমাদের লোকবল কম হওয়ায় যানযট নিরসনে একটু বেগপেতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। অবৈধ পার্কিং এর বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নেমেছি। সর্বদা ক্যামেরায় মনিটরিং এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছি। এ ছাড়া ও অবৈধ স্ট্যান্ড গুলোর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।