জন্মের ৫ ঘন্টার মাথায় সন্তানেক হাসপাতালে রেখে নিঁখোজ মা!

পটুয়াখালীর দুমকিতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৫ ঘণ্টার মাথায় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে মা সানজিদা আক্তার পপির (২২) নামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আব্দুর রবের ছেলে আলামিন ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল চৌকিদারের মেয়ে সানজিদা আক্তার পপির দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। এ ছাড়া এ নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে কয়েকবার।

ভুক্তভোগী আলামিন বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার শাশুড়ি তার মেয়েকে নানান ধরনের কুবুদ্ধি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার সঙ্গে বিয়ের আগে সানজিদা অন্য একটা ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল তা গোপন করে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। তাও আমি মেনে নিয়ে সংসার করার চেষ্টা করেছি। একপর্যায়ে সানজিদার পেটে বাচ্চা এলে তার মা বাচ্চাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে; কিন্তু আমার জন্য পারেনি। গত সোমবার সানজিদাকে দুমকি হাসপাতালে নিয়ে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করতে চেয়েছে।

কিন্তু চিকিৎসক সানজিদাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটাল রেফার করেন এবং নরমাল ডেলিভারিতে মঙ্গলবার দুপুরে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ৫ ঘণ্টার মাথায় হাসপাতাল থেকে আমার শাশুড়ি আমার নবজাতক বাচ্চা ফেলে রেখে তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে সানজিদার বাবা মোজাম্মেল চৌকিদার বলেন, আমার মেয়ের সন্তান ডেলিভারির সঠিক সময় হয়নি। কিন্তু আলামিন আমার মেয়ের পেটের ৮ মাসের বাচ্চা নষ্ট করতে দুমকি বাজারে বসে পেটের ওপর লাথি কিল-ঘুষিসহ মারধর করেন। একপর্যায়ে আমি আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ব্লিডিং শুরু হয়। পরে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে নরমাল ডেলিভারিতে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। তবে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর পরিপূর্ণ বয়স না হওয়ায় অসুস্থ ছিল। তাই আমরা বাঁচার জন্য তাদের পরিবারের হাতে বাচ্চা বুঝিয়ে দিয়ে আমার মেয়ে নিয়ে চলে আসি। তবে পরকীয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Check Also

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছে পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন, ডিপো-ঠিকদার আলো!

কোটি টাকার তেল চুরি করছেন পায়রা বন্দর!সহযোগিতা করছেন মেঘনা ডিপো-ঠিকদার আলো! ।। এম. লোকমান হোসাঈন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *