জুলফিকার আলী ভুট্টোর ন্যায্য বিচার অবলম্বন করা হয়নি

‘ন্যায্য বিচার এবং যথাযথ প্রক্রিয়া’ অবলম্বন না করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বে ৯ বিচারপতির একটি বেঞ্চ দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত প্রেসিডেন্টের রেফারেন্সের উপর তার বহু প্রত্যাশিত মতামত ঘোষণা করেছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পক্ষে ২০১১ সালের এপ্রিলে দায়ের করা রেফারেন্সটি পিপিপি প্রতিষ্ঠাতাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টা এখতিয়ারের অধীনে মতামত চেয়েছিল।

বুধবার ৯ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে বলেছে, ‘লাহোর হাইকোর্টের বিচারের কার্যক্রম এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের আপিলের বিচারের মৌলিক অধিকারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেনি।’

১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাচ্যূত করেন ভুট্টোকে। ১৯৭৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোর হাইকোর্টের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ। পরে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়। সর্বোচ্চ আদালতও রায় বহাল রাখলে ১৯৭৯ সালে ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

Check Also

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৯ জনের মৃত্যু

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *