বরিশালে চম্পা রানী নামের এক তরুণীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় প্রতারণা ও যৌতুকের মামলায় স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রাজিব মজুমদার। এর আগে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী চম্পা বেগম।
অভিযুক্ত স্বামী হেলাল উদ্দিন ফারুক নগরীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী রাজিব বলেন, চম্পা রানীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর বিয়ে করে ফারুক। এরপর চম্পা রানীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চম্পা বেগম। এর কিছু দিন পর চম্পা বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার ফাঁদে পরেছে। বিয়ের পর থেকেই ভরণপোষণ কিংবা স্ত্রী মর্যাদা না দিয়ে উল্টো যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলো ফারুক। স্বামী ফারুকের নির্যাতন সইতে না পেরে আদালতে মামলা দায়ের করেন চম্পা। সেই মামলায় রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।