বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সর্বত্র টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দ্রুত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিকমাধ্যম মেসেঞ্জার ও হোয়াসঅ্যাপে ভাইরাল হয়েছে। এক মিনিট চার সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে মিঠু ওই নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ ও সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত তারা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে ওই নারীর বিরুদ্ধে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া তালতলী থানায় গত ১২ এপ্রিল পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
ওই নারী বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিঠু ওই মামলায় ২নং সাক্ষী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে কিভাবে এমন ঘৃণিত কাজ করতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সরোয়ার হোসাইন স্বপন জোমাদ্দার বলেন, ভিডিওর কথা আমিও লোকমুখে শুনেছি; কিন্তু সত্য-মিথ্যা বলতে পারব না।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ভিডিওর সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটিকে সুপারিশ করা হবে।