বরিশালে তীব্র গরম ও হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে সব স্কুল-কলেজ। শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে প্রথম দিনে রেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। গত ২০ এপ্রিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্ধ থাকা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ৭ দিন পরে আজ রবিবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলে অ্যাসেম্বলি হয়নি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে স্কুল-কলেজ খোলায় কিছুটা উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। তবে খুশি শিক্ষার্থীরা। শিশুদের ঘন ঘন পানি পান করা’সহ রোদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা যাতে গাদাগাদি করে না বসে সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। এখনও তাপপ্রবাহ না কমলেও শিক্ষণ ঘাটতির কথা মাথায় রেখে নানা নির্দেশনা দিয়ে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
স্কুল বন্ধ থাকলে শিশুরা পড়ালেখা করতে চায় না বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন। শিখন ঘাটতি পূরণে স্কুল কলেজ খোলা রাখার প্রয়োজন বলেও তারা জানান। তবে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করতে পারলে গরমটা কম লাগতো বলে তারা মত দেন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে শিক্ষকরা আশা করছেন। এদিকে ক্লাসের ৫০ মিনিট সময় কমিয়ে বেশি সংখ্যক বিষয়ে পাঠদানের রুটিন সাময়িকভাবে করা হচ্ছে।