মির্জা ইয়ার উদ্দিন খলিফা মাজার ও মাদ্রাসার দান বাক্স ভেঙে টাকা-পয়সা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগের অনুকূলে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের প্রমাণের ভিক্তিতে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৯ মার্চ বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী মামলা আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআরআই’র নির্দেশ দেন।
থানায় গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে জনস্বার্থে আদালতে মামলা দায়ের করেন এ্যাড. মিজানুর রহমান (৪৩)। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫ টায় নগরীর অক্সফোড মিশন রোড গলির মুখে লাইট পোস্টের সাথে লাগানো ওই দান বাক্স ভেঙে টাকা-পয়সা নেয়ার ঘটনা ঘটে। দায়েরকৃত মামলার বাদী একজন আইনজীবী এবং নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডের এ্যাড. আব্দুর মজিদ মুন্সীর পুত্র। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় নামাজের উদ্দেশ্যে উঠে মিজানুর রহমান। এমন সময় বাহিরে লোহার রড দিয়ে বাক্স ভাঙার শব্দ পান।
সামনের ভবনের ২য় তলার ব্যালকুনিতে গিয়ে দেখতে পান ওই সময়ে চুরির ঘটনা। তার ডাক-চিৎকার শুনে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষীরাসহ কিছু সংখ্যক স্থানীয় ব্যক্তি ছুটে আসে। এর একটু আগেই চোরের দল দ্রুত দান বাক্সের টাকা-পয়সা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে বাদী তার বসতঘরের সামনে লাগিয়ে রাখা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে পুরো ঘটনা দেখতে পান। ঘটনার অনুকূলে থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে এ্যাড. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভিডিও ফুটেজে থাকা ২ ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক পর্যায় কোতয়ালি থানায় গিয়ে আইনি সহযোগিতা না পাওয়ায় স্থানীয় অধিকাংশ মুসুল্লির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে পুলিশের সঠিক দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে।