অবশেষে ঋণাত্মক সুদের হার থেকে বেরিয়ে এল জাপান। ১৭ বছর পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মঙ্গলবার সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় আট বছর পর ঋণাত্মক সুদ হার থেকে বেরিয়ে এলো জাপান।
এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অর্থ রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে ০.১ শতাংশ সুদ (অর্থাৎ সুদ হার ছিল -০.১ শতাংশ) দিতে হত। ব্যাংকগুলো যেন অর্থ জমা না রেখে বেশি করে ঋণ দেয়, সেজন্য ২০১৬ সালে ঋণাত্মক সুদ হার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্যাংক অব জাপান (বিওজে)। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, গ্রাহকদের ঋণ দিলে তাদের খরচ করার পরিমাণ বাড়বে এবং এভাবে অর্থনীতি সচল থাকবে। খবর রয়টার্সের
জাপানে এক বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়মিত দুই শতাংশের উপরে থাকায় ঋণাত্মক সুদ হার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিওজে। এছাড়া সম্প্রতি দেশটির বড় কোম্পানিগুলো বেতন ৫.২৮ শতাংশ বাড়াতে সম্মত হয়েছে, যা গত ৩০ বছরে বেতন বাড়ানোর সর্বোচ্চ হার।
মঙ্গলবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুদহার ০ থেকে ০.১ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিওজে। সুদ হার বাড়ার কারণে গ্রাহক ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ঋণ নেওয়া এখন ব্যয়বহুল হবে।
সুদ হার বাড়ানোর খবরে ডলারের বিপরীতে ইয়েন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিওজের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে এক ডলারের বিনিময়ে ১৪৯.৩০ ইয়েন পাওয়া যাচ্ছিল। এখন সেটি প্রায় ১৫০ ছুঁয়েছে। এতে রফতানিকারকদের সুবিধা হলেও আমদানি খরচ বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে বাজারে।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা সামলাতে বেশিরভাগ দেশ সুদ হার কমিয়েছিল। অনেক দেশে সেটি ঋণাত্মক পর্যায়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে আবার তা বাড়ানো হয়৷ এবার সবশেষ দেশ হিসেবে জাপান ঋণাত্মক সুদ হার থেকে বেরিয়ে এলো।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সুদ হার ৫.৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৫.২৫, জার্মানিতে ৪.৫, ফ্রান্সে ৪.৫, ইটালিতে ৪.৫ ও কানাডায় ৫ শতাংশ। এছাড়া চীনে এই হার ৩.৪৫ ও ভারতে ৬.৫ শতাংশ।