মোঃ শহিদুল ইসলাম :
দিনমজুর অরুন চন্দ্র (৫০) তিনি বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড শিয়ালঘুনী গ্রামের সরবিন্দুর বাড়ির মৃত্যু অমূল্য চন্দ্রের ছেলে। অর্থের অভাবে জীবন প্রদীপ নিভে যেতে বসেছে তার। দুটি কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গত ৭ মাস ধরে হাসপাতাল আর বাসার বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অরুন চন্দ্র।
পরিবার সুত্রে জানা যায়,২০ বছর আগে অরুন চন্দ্র পেটের তাগিদে পরিবার নিয়ে বরিশাল শহরের চৌমাথা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবনযাপন করতো।গত দের বছর যাবদ করোনা ভাইরাসের কারনে স্ত্রী এক ছেলে এবং এক কন্যাকে নিয়ে অভাব অনটনে কোনমতো সংসার চালিয়ে আসছিল।কিন্তু ২০ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে অরুন চন্দ্র। এর পর বরিশাল শেরে-বাংলা কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার মানবেন্দ্র দাশ পরীক্ষা-নীরিক্ষা দিলে জানা যায় অরুণ চন্দ্রের দুটিই কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায়,তার তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অরুন,রোগ সনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন ডায়লাইসিস করাতে হয়,এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে ধারদেনা সহ মাথা গোঁজার ঠাই পৈতৃক ভিঠা টুকু বিক্রি করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকাট মত ব্যয় করেছেন।এখন আর এই ব্যয় বহুল খরচ মেটাতে পারছে না পরিবার। ডাক্তাররা জানিয়েছেন,তার দুইটি কিডনি বিকল।নিয়মিত ডায়লাইসিস করাতে হবে।এমতাবস্থায়, তাকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এই টাকার যোগান দেয়া কোন কিছুতেই সম্ভব না। বর্তমানে টাকার অভাবে বিছানায় মৃত্যুর প্রহর গুণছে অরুন চন্দ্র । তার চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
অরুন চন্দ্রের ছেলে উজ্জ্বল হাওলাদার জানান, আমিও দিনমজুর। আত্মীয় স্বজনদের কাজ থেকে সাহায্য,জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে আমরা যতটুকু পেরেছি চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এ বয়সে জীবন প্রদীপ নিভে না যায় সেজন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানাচ্ছি। সবাই মিলে পাশে দাঁড়ালে আমার বাবা বেঁচে যাবে।
সাহায্যের জন্য অরুন চন্দ্রের ছেলে উজ্জ্বল তার সাথে যোগাযোগ এবং বিকাশ নম্বর (পার্সোনাল) ০১৭৩৬২৬৩৪৫৩