সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, জনগণকে মুক্তি পেতে হলে এই সরকারকে বহাল রেখে কখনো তা সম্ভব নয়। সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে মরিয়া। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ চরম অসহায়। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে রমজান মাসে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে, আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। কিন্তু একথা বলতে দ্বিধা নেই যে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। সিন্ডিকেটের কবলে জিম্মি পণ্যের বাজার।
আজ সোমবার বিকেলে বরিশালের চরমোনাইয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দূষিত, কলুষিত ও নোংরা রাজনীতির কারণে মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে। রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন সময়ের অনিবার্য দাবি।
গুণগত ও আদর্শিক পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের মুক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইসলামী আন্দোলন সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ১৫-২৯ ফেব্রুয়ারি দাওয়াতী পক্ষ পালন করছে। ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে দেশের মানুষকে এর পতাকাতলে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসলামের পতাকাতলে ফিরে এলে এবং ইসলামের আলোয় আলোকিত হলেই কেবল এদেশকে এবং এ দেশের মানুষকে আর অশান্তির দাবানলে জ্বলতে হবে না। ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে সরকারের জোরালো প্রতিবাদ নেই। এভাবে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে দেশ চলতে পারে না।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের খিলগাঁও থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত দাওয়াতী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার তাযোয়ার হাসান। খিলগাঁওয়ের বদতলাস্থ একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দাওয়াতী সভায় বক্তব্য রাখেন খিলগাঁও থানা শাখা আবু মাহমুদ, মাওলানা মাহদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।