পলাশপুরে স্ত্রীকে নিঃস্ব করে বিদেশে স্বামী! ।। এম. লোকমান হোসাঈন ॥ স্ত্রীর টাকায় ঘর নির্মাণ ও স্ত্রীর মাধ্যমে সুদে টাকা এনে বিদেশ পারি দিয়ে এভার স্ত্রীকেই বাড়ি ছাড়া করার পায়তারার! ষড়যন্ত্র করে বিদ্যুত লাইন বিচ্ছিন্ন এবং মারধর করে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে দ্ইু সন্তানের জননী ২৬ বছর বয়সী ওই নারীকে। এবিষয় বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানায় অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগমের।
মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ের অভিযোগ! ভাবীর অর্থসম্পদ সব কিছু নিয়ে এখন ঘর থেকে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশে অভিযোগ করে সাহয্য কারীরা উল্টো বিপদে দাবী নির্যাতিত নারীর!
উল্টো নির্যাতিত নারীর পক্ষ নেওয়া ব্যক্তিদের পুলিশ দিয়ে করা হচ্ছে নানাভাবে হয়রানি। প্রবাসী ফোরকানের বাড়ি বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর ৬ নং গুচ্চগ্রামে ও ফরিদা বেগমের প্রথম ঘরের ছেলে ফোরকান।
প্রবাসী ছেলের পক্ষ নিয়ে মা ফরিদা বেগম তার পূত্রবধূকে মারধর ও বাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় নিজ মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছেন ফরিদা বেগম।
ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ফরিদার ছোট মেয়ের বাসায় খাবার খেতে গেলে সেখানেও মারধর করেছেন শাশুরী ফরিদা বেগম, ফরিদার বড় মেয়ে রিমু বেগম ও ফরিদা বেগমের ছোট ছেলে মো: রাব্বি সিকদার এবং একই এলাকার মো: রহিমের ছেলে রেজভী। পরে স্থানীয়রা রাবেয়াকে উদ্বার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
উদ্বারকারীদেরকে পুলিশ ও স্থানীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দেওয়া হয়েছে হুমকি (যার ভিডিও ফুটেজ সময়ের বার্তা’র ফেইসবুক পেজে ভিডিও সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। স্ত্রী রাবেয়া বেগম সময়ের বার্তাকে জানান, প্রায় ১০ বছর আগে পুলাশপুরের বাসিন্দা ফরিদার প্রথম ঘরের বড় ছেলে মো: ফোরকান এর সাথে বিবাহ হওয়ার পর থেকে সংসার জীবন শুরু হয়। সংসার জীবনে ৮ বছরের ছেলে ও ৪ বছরের কন্যা সন্তান আছে।
স্বামী ফোরকানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ছেলে মেয়ে ও স্বামীর কথা চিন্তা করে স্ত্রী রাবেয়া তার বাবার কাছ থেকে টাকা এনে স্বামী ফোরকানের মা ফরিদা বেগমের নামে গুচ্চগ্রামে থাকা আড়াই শতাংশর একটি ডোবা জমি ভরাট করে তার ওপরে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা খরচ করে ঘর নির্মান করেছেন।
পরিবারের সচ্ছলতার কথা চিন্তা করে একবছর পূর্বে ঘর বন্ধক রেখে আড়াই লাখ ও নিজে সাদা স্ট্রাম্পে ও সাদা একাধিক চেক বই এ স্বাক্ষর করে আরো আড়াই লাখ টাকা সুদে এনে স্বামী ফোরকানকে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছে।
বিদেশ যাবার পর প্রথমে যোগাযোগ ভালো ছিল স্বামী ফোরকানের। কিছুদিন পর ফোরকানের এক বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জড়িয়ে পরেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় পারিবারিক ধন্দ। একপর্যায় স্ত্রী রাবেয়া আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন একাধিকবার।
পলাশপুরে স্ত্রীকে নিঃস্ব করে বিদেশে স্বামী!
PDF ২০২৪: তৃতীয় শ্রেণির পরিবার ও বিদ্যালয়ে শিশুর ভূমিকা প্রশ্ন-উত্তর
রাবেয়া বলেন, স্বামী ফোরকানের কথা ছিলো বিদেশ গিয়ে প্রথমে সুদে আনা টাকা পরিশোধ করা হবে। সুদে আনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো রাবেয়াকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাওয়না দাররাও নানা ভাবে চাঁপ প্রয়োগ করে আসছেন।
বাদ্ধ্য হয়ে ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ন ইলেকট্রনিক মালামাল এবং সোনার গহেনা বিক্রি করে কোন মতে শুধু সুদের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মূল টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি।
প্রায় ৪মাস পূর্বে ফোরকানের মা শাশুরী ফরিদা বেগম, বড় বোন রিমু ও ছোট ভাই রাব্বি ও রাব্বির বন্ধু রেজভীকে দিয়ে ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
এছাড়া স্থানীয় ঔষুধের দোকান ও মুদি দোকানে পাওয়ানা প্রায় আরো ৮১ হাজার টাকা সহ মোট প্রায় ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করে কাউনিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে থানার এসআই সাইফুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ঢেকে এনে শালিশী করে অভিযোগকারী রাবেয়াকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা ২০ দিনে মধ্যে পরিশোধ জন্য ফরিদাকে নির্দেশ দেন।
তবে রহস্যজনক কারনে প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও টাকা না দেওয়ার জন্য ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়। শালিশীর বিষয়টিও অস্বীকার করেন এসআই সাইফুল। রাবেয়া বেগম এর পক্ষে থাকায় একই এলাকার বাসিন্দাদের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কিছু টাকা বিনিয়মে চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেন এসআই সাইফুল ইসলাম। (অভিযোগকারী তথ্য-প্রমাণ সংরিক্ষত) প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এসআই সাইফুল।
রাবেয়া বেগম এর দাবী থানার এসআই সাইফুল ও এসআই সহিদুল তার শাশুরীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা ও তার পক্ষে যারা কথা বলছেন, তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেছেন রিমু বেগম, সময়ের বার্তা‘র হাতে আসা ফরিদা বেগম এর বড় মেয়ে রিমু বেগমের কথোপকথন একটি অডিও বার্তায় এর সত্যতা পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশিদের দেওয়া খাবার খেয়ে কোন মতে বেছে আছেন রাবেয়া ও রাবেয়ার সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা।
বিষয়টি মানবিকদৃষ্টিকোনে স্বামী ফোরকানের ছোট বোন ও শাশুরী ফরিদার ২য় ঘরের মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মুন্নির স্বামী নাসির তাদের বাড়িতে নিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করেন।
বিষয়টি ফোরকানের মা ও রাবেয়ার শাশুরী ফরিদা বেগম, প্রথম ঘরের বড় বোন রিমু ও ছোট ভাই রাব্বি ও রাব্বির বন্ধু রেজভীকে নিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুত্বর জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে প্রথামিক চিকৎসা দেন। চিকিসক মাথার সিটিস্ক্যান করতে বললেও অর্থের অভাবে তা করা পারেননি এছাড়া সঠিক ভাবে চিকিসাও করাতে পারেননি রাবেয়া বেগম।
এলাকাবাসী বলছেন, রাবেয়াকে উদ্বার করে যারা চিকিৎসা করাতে এগিয়ে এসছেন তাদের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং পুলিশ দিয়ে তাদেরকেও হয়রানি করা হচ্ছে। ফরিদা বেগম ও ফরিদা বেগম এর বড় মেয়ে রিমু সময়ের বার্তাকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক না।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।