মোঃ আইফুল ইসলাম জাহিদ:
তাদের দুই ভাইয়ের বাড়ি পাবনা জেলার সদর উপজেলার পৈলানপুর গ্রামে।পিতার নামঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। মাতা মোছাঃ সেলিনা খাতুন একজন গৃহিনী। তারা দুই ভাই ।বড় ভাই মোঃ শাহেদুর রহমান আরমান এবং ছোট ভাই মোঃ তৌহিদুর রহমান লিমন। পাবনাতে করোনাকালীন মুহূর্ত থেকেই তারা দুই ভাই রাতদিন নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন অক্সিজেন সেবার মাধ্যমে। দুই ভাই ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অক্সিজেন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। সাইদুর রহমান আরমান পাবনার যুব লীগের হয়ে রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে অক্সিজেন সেবা প্রদান করছে। পক্ষান্তরে তার ছোট ভাই তৌহিদুল রহমান লিমন অন্যতম সামাজিক সংস্থা তোহুরা আজিজ ফাউন্ডেশন এর হয়ে অক্সিজেন সেবা প্রধান করে যাচ্ছে।পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি এবং সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের নির্দেশে জুন মাসের 2 তারিখ থেকে তারা হট লাইন চালু করে। তার ফলে সাধারণ মানুষ যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তারা অক্সিজেন সেবা পায়। সেখানে শাহিদুর রহমান আরমান প্রথম থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে শ্রম দিয়ে আসছে।পক্ষান্তরে ছোটভাই তৌহিদুর রহমান লিমন পাবনার অন্যতম সামাজিক সংগঠন তোহুরা আজিজ ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অক্সিজেন সেবার স্বাভাবিক কার্যক্রমে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখে আসছে। তোহুরা আজিজ ফাউন্ডেশন দীর্ঘ 11 বছর ধরে পাবনা জেলায় বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে গরীব অসহায় মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রদান, অসহায় দুঃস্থ মহিলাদের ভিতরে ছাগল প্রদান,সেলাই মেশিন প্রদান,রমজান মাসে মাসব্যাপী সেহরি প্রধান ইত্যাদি। তৌহিদুর রহমান লিমন হঠাৎ করেই আজিজ ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়,তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন দেওয়ান মাহবুব যে নেতাজির ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা তার কার্যক্রমে তাকে উৎসাহিত করে এই জন্য।আমাদের বড় ভাই দাতব্য সংস্থা আছে অর্থাৎ তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশন সেখানে সব সময় সামাজিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে আমি সেই বড়মা এর কার্যক্রম দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়ে এই কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি।তিনি সব সময় বলেন আমরা সারা বাংলাদেশ কে পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু আমাদের পাবনা জেলা কে আমরা চাইলে পরিবর্তন করতে পারি। কিন্তু করোনা কালীন মুহূর্তে যখন দেখলাম চারিদিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাহাকার তখন আমরা প্রথমে ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ শুরু করি তারপর আস্তে আস্তে আমাদের এখন অনেক বড় আকারে হয়ে গিয়েছে তারপরও চাহিদার শেষ নাই,আমাদের প্রায় দিনই অক্সিজেন সিলিন্ডার ফুরিয়ে যায় আমরা মানুষকে সেভাবে দিতে পারিনা, আমাদের ইচ্ছা আছে দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে পাবনা জেলায় বেকার মুক্ত করার।
Check Also
জেনে নিন ডায়াবেটিসের সমাধান
জেনে নিন ডায়াবেটিসের সমাধান । আমাদের শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমান ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না …