কারাগারে ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার বিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সি নাভালনির। মৃত্যুর পর তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নাভালনির দলের দাবি, বিরোধী নেতার মরদেহ মর্গে নেই।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নাভালনির মা লিউডমিলার সঙ্গে সালেখার্ড শহরের মর্গে গিয়েছিলেন প্রয়াত নেতার আইনজীবী।
নাভালনির দল টেলিগ্রাম অ্যাপে জানিয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষ বলেছিল, মর্গ খোলা এবং নাভালনির মরদেহ সেখানে রয়েছে। কিন্তু আদতে মর্গটি বন্ধ ছিল।
এরপর নাভালনির আইনজীবী মর্গের দরজায় লেখা একটি ফোন নাম্বারে কল করেন এবং সেখান থেকে তাকে বলা হয়, মরদেহ মর্গে নেই।
প্রয়াত নেতার সমর্থকরা মরদেহটি অবিলম্বে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রুশ সরকার বলেছে, কারাগারে বন্দি অবস্থায় নাভালনির ‘আচমকা’ মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার হঠাৎ রহস্যজনকভাবে মারা যান আলেক্সি নাভালনি। প্রিজন সার্ভিসের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, কারাগারে হাঁটাহাঁটির সময়ে নাভালনি হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন এবং একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম আসে। ঘটনার পরপরই চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কথা জানান। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে রাশিয়ার একটি আদালত নাভালনিকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। মস্কো থেকে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে বন্দি ছিলেন পুতিনবিরোধী এ নেতা। এটি রাশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ কারাগার বলে মনে করা হয়। সেখানে আটক অধিকাংশ বন্দিই গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন। ২০২০ সালে সাইবেরিয়ায় তাকে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান নাভালনি।