প্রতারণা মামলায় উজিরপুরের মিঠু জেল হাজতে

প্রতারণা মামলায় উজিরপুরের মিঠু জেল হাজতে

প্রতারণা মামলায় উজিরপুরের মিঠু জেল হাজতে ।। স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতারণা মামলায় উজিরপুরের মিঠুকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত। মটরসাইকেল বিক্রির নামে প্রতারণার ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক জিসান ইসলাম মিঠু ওরফে গোলাম মিঠু বেপারীর জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলাধীন উজিরপুর হারতার সেলিম বেপারীর ছেলে আসামী জিসান ইসলাম মিঠুর সাথে বাদীর দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক থাকায় গত বছরের শেষের দিকে আসামী মিঠুর ব্যবহৃত আর-ওয়ান ফাইভ মডেল ভি-৩ একটি কালো রংয়ের মটরসাইকেল বিক্রির উদ্যোগ নিলে ওই মটরসাইকেলটি বাদী মাহাদিউল ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য যে, মটর াইকেল এর মূল মালিক হচ্ছেন, ঢাকাস্থ্য বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসীন্দা দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে মো: ফাহাদ হোসেন। মটরসাইকেলটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

গত বছর ২৮ নভেম্বর পনের হাজার টাকা প্রদান করে মটরসাইকেলটি বায়না করার পাশাপাশী ওইদিনই পূর্ব বন্ধুত্ব সম্পর্কের কারণে মটরসাইকেলের মূল কাগজপত্রসহ গাড়িটি হস্তান্তর করেন।

পর্যায় ক্রমে বাদীর কাছে পাওনা টাকা থেকে বিকাশ এর মাধ্যমে এক লক্ষ বত্রিশ হাজার প্রদান করা হয়। বাকী পাওনা দুই লক্ষ আঠারো হাজার টাকা কাশিপুর চৌমাথা একটি বিকাশের দোকানে বসে, নগদ পরিশোধ করা হয়েছে।

আসামীর দাবীকৃত টাকা প্রদানের পর মটরসাইকেল এর মালিকানা হস্তান্তর সংক্রান্ত লিখিত ভাবে চুক্তিনামা প্রদান করার জন্য বলা হলে, আজ কাল বলে ঘুরাইয়া আসিতে থাকে।

একপর্যায় বিষয়টি বাদীর গার্ডিয়ান জানাজানি হলে উভয় পক্ষের ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২ ফেব্রুয়ারী এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর চৌমাথায় মিঠুকে পেয়ে মটর সাইকেল মালিকানা হস্তান্তর করার জন্য অনুরোধ করা হলে, গাড়ী বিক্রী, টাকা গ্রহণ অস্বিকার ও মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়টি সম্পূর্ন অনিহা প্রকাশ করেছেন।

পরবর্তীতে জিসান ইসলাম মিঠু ও মিঠুর বাবা সেলিম বেপারীকে আসামী করে দন্ডবিধি ৪০৬,৪২০ ও ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে ১ মার্চ ২২ ইং তারিখ নালিশী দরখাস্ত করা হলে, দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ১০ এপ্রিল এয়ারপোর্ট থানা,বরিশাল এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: আমানুল্লাহ আমান, দন্ডবিধি আইনের ৪০৬,৪২০ ও ১০৯ ধারার প্রাথমিক ভাবে প্রামান পেয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন জমাদেন।

যার প্রেক্ষিত্রে গতকাল মিঠু আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক মিঠুর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। এদিকে উক্ত ঘটনার জের ধরে, মাহদিউল হাসান ইমন ও ইমনের বাবা আলী হোসেন মাঝী এবং মিলন চৌধুরীর নামে

বরিশাল উজিরপুর কোর্টে একটি মনগড়া গল্প কাহিনী লিখে জাল বায়নাপত্র তৈরী করে, মাহদিউল হাসান ইমন ও ইমনের বাবা আলী হোসেন মাঝী এবং মিলন চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করে সি.আর মামলা করেন করেছেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

Check Also

দেশে আমদানি না করেই ২‘শ থ্রি হুইলারের বিআরটিএ‘র রেজিস্ট্রেশন!

দেশে আমদানি না করেই ২‘শ থ্রি হুইলারের বিআরটিএ‘র রেজিস্ট্রেশন!

দেশে আমদানি না করেই ২‘শ থ্রি হুইলারের বিআরটিএ‘র রেজিস্ট্রেশন! ।। এম. লোকমান হোসাঈন ॥ জাল-কাগজপত্র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *