বরিশালের মুলাদীতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূর সংসার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামে। ভুক্তভোগী নারী নিজেই এ অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে সাহেবেরচর গ্রামে বিয়ে হয় ওই নারীর। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য চাপ দিলে গৃহবধূর মা ধারদেনা করে জামাতাকে ২ লাখ টাকা দেন। পুনরায় ৫ লাখ টাকা দাবি করেন তার স্বামী; কিন্তু ওই টাকা দিতে পারেননি গৃহবধূর পিতা-মাতা।
এদিকে কয়েক মাস আগে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন ননদের স্বামী রিপন সিকদার। এতে রাজি না হয়ে বিষয়টি স্বামী ও তার পরিবারকে জানান। প্রায় ২ মাস আগে গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন রিপন। তার ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন চলে আসলে রিপন পালিয়ে যান। ওই সময় পরিবারের লোকজন দুঃশ্চরিত্র আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ওই গৃহবধূ পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রিপন সিকদার তার সমন্ধিকে দিয়ে গৃহবধূকে তালাকের নোটিশ পাঠান।
এ ব্যাপারে রিপন সিকদার কুপ্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে ডিভোর্স হয়ে থাকতে পারে। সেখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল খান বলেন, যৌতুক দাবি এবং মিথ্যা অভিযোগে কোনো নারীকে তালাকের নোটিশ দেওয়া অযৌক্তিক ও অমানবিক। দুপক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।