বৈশাখের তাপদাহে গত কয়েক দিনে হিটস্ট্রোকে বরিশাল জেলার এক হাজার ৬০৮টি পোল্ট্রি খামারের পাঁচ হাজার ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ বিষয়টি জানিয়েছেন পোল্ট্রি খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তার দাবি, এ কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী চলতি মাসের গত সাত দিনে বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করেছে। এতে বরিশাল জেলার ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগির খামারের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে হিটস্ট্রোকে বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন খামারের পাঁচ হাজার মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার মোস্তফা পোল্ট্রি ফিডের ৫০০, সিকদার পোল্ট্রি ফিডের ২০০ ও শহিদ পোল্ট্রি ফিডের ১০০ মুরগিসহ জেলার বিভিন্ন খামারে হিটস্ট্রোকে প্রচুর মুরগি মারা গেছে। তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে মুরগির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কম।
নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার খামারি মোস্তফা জানান, তীব্র গরমে খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে হিটস্ট্রোকে ৫০০ মুরগি মারা গেছে। যে মুরগিগুলো বেঁচে রয়েছে তাও অসুস্থ।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, বরিশালের সব মাঠ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা খামারিদের বারবার পানি স্প্রে ও চট ভিজিয়ে ফ্লোরে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তবে গরমে মুরগি মরার বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বশির আহমেদ জানিয়েছেন, চলতি মাসে তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা নেই। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে কিছু সময়ের জন্য তাপমাত্রা কমতে পারে।