বরিশালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি থাকায় শিশু শ্রমের হার বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে এক কর্মশালায়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ইউনিসেফের সহযোগিতায় শিশু শ্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তর এ কর্মশালা বাস্তবায়ন করেছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে। এ লক্ষ্য পূরণে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। সেই প্রকল্প চালু হলে আমাদের কর্মপরিধি আরও বাড়বে। এর মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী একা সব কিছু করতে পারবেন না। তিনি পলিসি দেবেন, আমরা সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করবো।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বরিশালে শিশু শ্রমের হার শতকরা ৭ দশমিক ৩ ভাগ। জাতীয়ভাবে শিশু শ্রমের হার ৬ দশমিক ৮ ভাগ। বরিশালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি থাকায় শিশু শ্রমের হার বেড়েছে। আজকের কর্মশালায় যে মতামত পেয়েছি, তা কাজে লাগিয়ে আরও দ্রুত গতিতে কাজ করা হবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন, বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও ইউনিসেফ’র বরিশালের চিফ ফিল্ড অফিসার আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিরা শিশু শ্রম নিরসনে পরামর্শ ও উন্মুক্ত আলোচনা করেন। এ সময় মাঠ পর্যায়ে শিশু আইন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।