এম লোকমান হোসাঈন ॥ ফের বির্তকে জড়াচ্ছেন বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা মাহাফুজুল আলম মিঠু। দলের পদ দেয়া কথা বলে কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অপরাধে দল থেকে বহিস্কার হওয়া মিঠু এবার যৌন কেল্কারীতে জড়িয়েছেন। গত দুই দিন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মিঠুর যৌনত্তেজক চ্যাটিংসহ নানা কথাপোকথনের বেশ কিছু ছবি।
ভাইরাল হওয়া ‘ম্যাজিক বক্স’ শিরোনামে উক্ত স্টাটাসে বলা হয়, ‘দল যেখানে বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত, সেখানে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের সাথে আপত্তিকর ও নোংড়া চ্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত।’ এছাড়া আরো বেশ কিছু মন্তব্য করা হয় উক্ত পোস্টে।
- আরো পড়ুন: ক্যান্সার রোগীরা যে ৪ খাবার খাবেন না
- আরো পড়ুন: পিসিওডি’তে আক্রান্তরা যেসব খাবার খাবেন না
- আরো পড়ুন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৫ স্বাস্থ্যকর খাবার
কি আছে ওই চ্যাটিংয়ে তা জানতে হৈচৈ পড়ে যায় বরিশাল রাজনৈতিক অঙ্গনে। দেখা যায় উক্ত চ্যাটিংয়ে এক নারীকে কোন একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। সেখানে বাজে মন্তব্য করতেও দেখা গেছে মিঠুকে। যদিও বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাফুজুল আলম মিঠুর দাবী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তার প্রতিপক্ষরা।
এদিকে মিঠুর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে, তিনি বরিশাল জেলা কমিটিসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রদলের কমিটির পদ-পদবী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দলের কর্মীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে যাদেরকে পদ এনে দিতে পারেননি তারাই মুখ খুলতে শুরু করেন। এর মধ্যে বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদ প্রত্যাশী ছিলেন রোকনুজ্জামান। রোকনুজ্জামানকে উক্ত পদ পাইয়ে দিতে ৬০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন মিঠু।
তবে বয়স বেশি ও বিবাহিত হওয়ার কারণে বাদ পড়েন রোকনুজ্জামান। পদ না পেয়ে ওই টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে নানা হয়রানির স্বীকার হতে হয় রোকনুজ্জামানকে। একইভাবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদ প্রত্যাশী মাসুদ রানার কাছ থেকেও ৩০ হাজার টাকা নেন মিঠু। এভাবে অনেক নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিলেও শেষ পর্যন্ত পদ দিতে পারেননি তিনি। পদ পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়া মিঠু টাকাও ফেরৎ দেননি কাউকে।
পরবর্তীতে লেনদেনের একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হলে দল তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। স্থগিতের কিছুদিন পরে আবারো রহস্যজনকভাবে সভাপতির পদ ফিরে পান মিঠু। মিঠুকে দলীয় কার্যক্রমে তেমন একটা দেখা না গেলেও দলের কর্মীদের সাথে প্রতারণাসহ নারী কেল্কারীতে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, দলের নেতাদের আর্দশ দেখে কর্মীরা অনুপ্রেরণা পেয়ে একজন আদর্শবান কর্মী হওয়ার ইচ্ছুক জাগে। নেতা যদি চরিত্রহীন হন কর্মী আসবে কোথায় থেকে? কারণ তারাই আবার আগামী দিনের নেতা হবেন।
- আরো পড়ুন: স্ত্রীকে চুমু দিয়ে কাজে গেলে আয় ও আয়ু বাড়ে!
- আরো পড়ুন: যেভাবে সংসার খরচ বাঁচাবেন
- আরো পড়ুন: সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে? যেভাবে সামলাতে পারেন
আর নেতা যদি হয় অসৎ সেখানে কর্মীরা কি শিখবে? আর জাতি বা কি পাবে। জানা যায়, এই নারী কেলেঙ্কারী মিঠুর জন্য নতুন কিছু না। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মিঠু বহু নারীর সাথে প্রতারণা করেছেন। অনেকে মিঠুর ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। অথচ দলের দায়িত্বরত নেতারা জেনেও বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন। যার ফলে মিঠুও একের পর অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিঠুর কু-কর্মের বেশ কিছু অডিও কল রেকর্ড আসে সময়ের বার্তা’র হাতে। কল রেকর্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হচ্ছে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিঠু কর্তৃক একাধিক নারী কেল্কারীর বিষয়বস্তুসহ চাদাঁবাজীর চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা প্রকাশ করা হবে আগামী পর্বে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।